সংক্ষিপ্ত

  • একটা সময় তাঁর নাচন বোলিং দেখতে মাঠে ভিড় জমে যেত
  • বলটাকে যেন আপেলের মতো লুফে নিতেন, বলেছিলেন এক বিখ্যাত বাঙালি ধারাভাষ্যকার
  • আব্দুল কাদির মানেই একটা সময় ভারতীয় ব্যাটিং-এর কাছে ত্রাস
  • ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উইকেট ঝুলিতে পোরাটা বড্ড উপভোগ করতেন কাদির 

তাঁর বিদায়ে হয়তো বেজে ওঠা উচিত ছিল বিউগলের সুর। অথবা তাঁর বিদায়ের সেরা উপহার হতে পারত একগুচ্ছ লেগ স্পিনারের নাচন বোলিং। 'হয়তো'-র বন্ধনীতে এভাবে সবকিছু-কে বেঁধে দেওয়াটা আসলে একটা রূপক। কারণ, আব্দুল কাদির মানে শুধু একটা পাকিস্তানি লেগস্পিনারের সাফল্য গাথা নয়, আব্দুল কাদির মানে ক্রিকেট ময়দানের একটা বর্ণময় চরিত্র। যার কোনও দেশ-সীমা ছিল না,  তিনি ছিলেন শুধুই ক্রিকেটের এক যোদ্ধা। যার বোলিং এবং চরিত্র ক্রিকেটের হল অফ ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা যেতেই পারে। এহেন আব্দুল কাদির প্রয়াত হয়েছেন। প্রবল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা শুক্রবার নিশ্চিত করে কাদিরের পরিবার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। 

একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বর্ণময় চরিত্র যে প্রয়াত হয়েছেন সে খবর কারোরই জানা ছিল না। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসিত আলির একটি টুইট থেকে খবরটি সামনে আসে। এরপর-ই কাদিরের পরিবার সূত্রে তাঁর প্রয়াণের খবর-কে নিশ্চিত করা হয়। পরে সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আব্দুল কাদিরের ছেলে সলমন কাদির জানান, 'আমার বাবা-র হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ছিল। হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন তিনি। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। কিছু করে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।' 

আব্দুল কাদির পাকিস্তানের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন। একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ১০৪টি। ১৯৭৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে লাহোরে-এ অভিষেক ঘটেছিল তাঁর।  একদিনের সীমিত ওভারের ম্যাচে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল ১৯৮৩ সালের ১১ জুন। তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ ছিল ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯৩ সালের ২ নভেম্বর শারজায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন কাদির।  খেলা ছাড়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। 

টেস্ট ক্রিকেটে ২৩৬টি উইকেট রয়েছে আব্দুল কাদিরের ঝুলিতে। এরমধ্যে ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ৬৫ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে কোনও পাকিস্তানি বোলারের এটাই সেরা পারফর্ম্যান্স।