সংক্ষিপ্ত

২০১৫ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে এমএস ধোনির অবসর নেওয়ার পর, বাংলার এই ক্রিকেটার টেস্টের মত দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে দলের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক ছিলেন। তার সুনির্দিষ্ট গ্লাভওয়ার্ক সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল।

গভীর অভিমান নাকি অন্য কোনও কারণ। ঠিক কি কারণে নিজেকে বাংলা রণজি দল (Bengal Ranji Trophy squad) থেকে সরিয়ে নিলেন (opts out) উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা (veteran wicketkeeper-batter Wriddhiman Saha), তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এর আগে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানায় ৪ঠা মার্চ থেকে শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতীয় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন ঋদ্ধিমান। টিম ম্যানেজমেন্ট পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে ঋষভ পন্তের মত নতুন মুখ খুঁজছেন তাঁরা। তাই আপাতত বিশ্রাম ঋদ্ধিমানের। এরপরেই নিজেকে রণজি থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

বিশেষজ্ঞদের দাবি সামনে আইপিএল, তারওপর করোনার থাবা। সব মিলিয়ে রণজি দল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান। এর সঙ্গে জাতীয় দলে না থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও এর কোনও সঠিক ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, ঋষভ পন্তের উত্থানের পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন ঋদ্ধিমান। পন্তের অভিষেকের পর থেকে কয়েকটা টেস্ট ম্যাচে মাত্র দেখা যায় তাঁকে। 

২০১৫ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে এমএস ধোনির অবসর নেওয়ার পর, বাংলার এই ক্রিকেটার টেস্টের মত দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে দলের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক ছিলেন। তার সুনির্দিষ্ট গ্লাভওয়ার্ক সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। তবে খামতি ছিল ব্যাটিংয়ে। ২০১৮ সালে পান্তের অভিষেকের পরেও তিনি কিছু টেস্ট খেলেছিলেন, যদিও তা অনিয়মিত ছিল। গত বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার শেষ টেস্ট খেলা। কারণ সেই সিরিজে পন্তকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ইঙ্গিত মিলছি যে নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট এগিয়ে যেতে চায় এবং তারা জাতীয় নির্বাচকদের কাছেও সেই মর্মেই আবেদন জমা হয়। 

৫ মিনিটেই সব শেষ, টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাক মহারণে ঝড়ের গতিতে বিকিয়ে গেল সব টিকিট

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে অবিচল টিম ইন্ডিয়া, ঘুড়ে দাঁড়াতে কী পারবে ক্যারেবিয়ানরা

তবে এই বিষয়ে বিশেষ কোনও কারণ জানিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি ঋদ্ধিমান সাহা। নিজের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য রণজির বাংলা স্কোয়াড থেকে সরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধি। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে ঋদ্ধিমান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এবং যুগ্ম সম্পাদক স্নেহাশিস গাঙ্গুলিকে জানিয়েছিলেন যে তিনি 'ব্যক্তিগত কারণে' এই মরসুমে রণজি ট্রফি খেলবেন না। সে কারণেই নির্বাচকরা তাকে বেছে নেননি। 

ইতিমধ্যে, বেঙ্গল নির্বাচক কমিটি গ্রুপ লিগ পর্বের জন্য দুই উইকেটরক্ষক ব্যাটার অভিষেক পোরেল এবং শাকির হাবিব গান্ধী সহ ২২ সদস্যের একটি দল ঘোষণা করেছে। নির্বাচকদের বৈঠকের সময় বাংলা দলের নির্বাচক কমিটির প্রধান শুভময় দাস ঋদ্ধি সম্পর্কে সচিব এবং সিনিয়র নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক স্নেহাশিষ গাঙ্গুলিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তাঁরা বলেন যে ঋদ্ধি জানিয়ে দিয়েছে যে মরসুমের জন্য রঞ্জি ট্রফির জন্য তাকে বাংলার জন্য বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই।