সংক্ষিপ্ত

মনে করা হয় ষষ্ঠী তিথিতেই মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত‍্যলোকে পদার্পণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার চার সন্তান লক্ষী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। ষষ্ঠী তিথিতেই ঢাকের বাদ্যির সাহায্যে মা দুর্গা ও তার সন্তানদের স্বাগত জানানো হয়। 
 

ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন-এর নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে। দুর্গাপুজোর প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। খুঁটি পুজোর কথা বাদ দিলে দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এদিনেই। বোধন নিয়মটির মূল তাৎপর্য হল মা দুর্গাকে জাগ্রত করা। দেবী দুর্গার বোধনের একটি নির্দিষ্ট পৌরাণিক তাৎপর্য-ও রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মনে করা হয় ষষ্ঠী তিথিতেই মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত‍্যলোকে পদার্পণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার চার সন্তান লক্ষী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। ষষ্ঠী তিথিতেই ঢাকের বাদ্যির সাহায্যে মা দুর্গা ও তার সন্তানদের স্বাগত জানানো হয়। 

ষষ্ঠী তিথিতে মা দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করাই এই দিনের প্রধান কাজ হিসাবে গন্য হয়। এছাড়া অন্য নিয়ম হিসেবে বোধনের আগে থাকে কল্পারম্ভ এবং বোধনের পরে আমন্ত্রণ এবং অধিবাস নামে আরও কয়েকটি ছোট নিয়ম পালন করা । মনে করা হয় বোধনের মাধ্যমে প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। 

আরও পড়ুন- তিন জগতে ত্রাস সৃষ্টিকারী মহিষাসুর-কে রুখতে মর্তে অবতারণ করেছিলেন মা চন্দ্রঘন্টা

আরও পড়ুন- দুর্গা পুজোয় কীভাবে বাড়িতে মঙ্গল ঘট স্থাপন করবেন, জেনে নিন নিয়ম

আরও পড়ুন- মাতৃ বন্দনার আগে জেনে নিন অষ্টমাতৃকা উপাখ্যান, কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল মায়ের এই রূপ


 বোধন কে অনেকে অকাল-বোধনও বলে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে সকল দেব দেবী সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রিত অবস্থায় থাকেন। যেহেতু দুর্গাপুজো এই ছয় মাসের মধ্যের সময়ে হয়ে থাকে তাই বোধনের মাধ্যমে আগে দেবীর ঘুম ভাঙ্গানো হয়। পুরান মতে সর্বপ্রথম এই কাজটি করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর আগে মা দুর্গার পুজো করেছিলেন এই তিথিতেই। তাই এই ষষ্ঠীর বোধনকে বা অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই অনেক বিশেষজ্ঞ একে অকাল বোধন বলে থাকেন।