সংক্ষিপ্ত

সন্ধি পুজোর সময়েই দেবী মহামায়া মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে চিন্ময়ী রূপে আসেন ও ভক্তের পূজা গ্রহণ করেন। ১০৮ প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনা করতে হয় যাতে দেবী সংসারের সব আঁধার মোচন করেন। দেবী যেন জ্ঞানের আলো জ্বেলে দেন।
 

পুরাণ অনুসারে অসুরদের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধের সময়ে দেবী অম্বিকার কপালে থাকা তৃতীয় নেত্র থেকে দেবী কালিকা প্রকট হয়েছিলেন ঠিক এই সময়কালে। আবার অন্যত্র এমনটাও বলা হয়েছে যে, পরাক্রমী অসুর রক্তবীজের সমস্ত রক্ত এই সন্ধি মুহূর্তেই দেবী চামুণ্ডা কালিকা খেয়ে নিয়েছিলেন। তাই পণ্ডিতেরা বলে থাকেন, এই সন্ধিক্ষণ চলাকালীন সময়ে মা দুর্গার অন্তর থেকে সমস্ত স্নেহ, মমতা লোপ পায়। 

সেই কারণেই সন্ধি পূজার সময়ে দেবীর দৃষ্টি পথ পরিষ্কার রাখতে হয় এবং চামুণ্ডা দুর্গার চোখের সামনে দাঁড়াতে নেই। পণ্ডিতরা এমনও বলেন যে, সন্ধি পুজোর সময়েই দেবী মহামায়া মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে চিন্ময়ী রূপে আসেন ও ভক্তের পূজা গ্রহণ করেন। ১০৮ প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনা করতে হয় যাতে দেবী সংসারের সব আঁধার মোচন করেন। দেবী যেন জ্ঞানের আলো জ্বেলে দেন।

এই মহাষ্টমী হল শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। দেবীর সন্ধিপূজা এবং কুমারী পূজার মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন ও বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মহা সপ্তমীর পরের দিন হল শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী। এদিনে ভক্তরা তাদের অর্ঘ্য তুলে দেন দুর্গতিনাশীনী দেবী দুর্গার পায়ে। এছাড়া অষ্টমী তিথির শেষ ও নবমীর শুরু সন্ধিক্ষণে রয়েছে ‘সন্ধিপূজা’র আয়োজন।
 

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজা ও তার পরবর্তী সময় এই ৫ রাশির জন্য খুব চাপের হতে পারে, দেখে কোন রাশি আছে এই

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর সময় থেকে বাকি বছরটা এই ৪ রাশির জন্য অত্যন্ত শুভ, জেনে নিন কারা আছেন 

আরও পড়ুন- এই বছর মা দুর্গার আগমণ হবে 'হাতিতে' চড়ে, জেনে নিন মায়ের প্রতিটি বাহনের গুরুত্ব

এই পুণ্য তিথিতে অঞ্জলী দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান পূণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। ছোট-বড় সবাই অংশ নেন পূজার্চনায়। এই দিন চামুন্ডা রূপে দেবী দূর্গা কে পুজো করা হয়। এই দিন বিভিন্ন মন্দিরে চালকুমড়ো, চিনি প্রভৃতি বলি দেবার রীতি প্রচলিত আছে। এই দিন অষ্টমীর সন্ধি পুজোর সময় ৬৪ ডাকিনী যোগিনীর পুজো করা হয়। এই দিন বেশিরভাগ মন্দিরে দেবী দূর্গা কে লুচি সুজির ভোগ দেওয়া হয়| দুর্গাপূজায় এই সন্ধিক্ষণের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।