সংক্ষিপ্ত
দশমীতে শোভাবাজার রাজবাড়িতে কনকাঞ্জলি দিয়ে শুরু হবে উমা বিদায় পর্ব। আর কিছুটা সময়ের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে মা দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি, ইতিমধ্য়েই বিসর্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
দশমীতে (Dashami) শোভাবাজার রাজবাড়িতে (Shova Bazar Rajbari) কনকাঞ্জলি দিয়ে শুরু হবে উমা বিদায় পর্ব। এদিন ভোর থেকেই বিষাদের সুর আকাশে-বাতাসে। আর কিছুটা সময়ের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে (Durga Idol) মা দুর্গাকে বরণের প্রস্তুতি। আর ইতিমধ্য়েই বিসর্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Covid 19: দশমীর আগেই সংক্রমণ কমল সারা বাংলায়, শীর্ষে কলকাতাই
প্রসঙ্গত, উত্তর কলকাতার অন্যতম এক বনেদি বাড়ির পুজো শোভাবাজার রাজবাড়ি। রাজা নবকৃষ্ণ দেব ১৭৫৭ সালে এই পুজোর সূচনা করেন। এই বাড়িতে পুজোর জন্য শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস উপস্থিত হয়েছিলেন। কথিত আছে, তিনি টানা ৯০ দিন এই বাড়িতে পুজো করেছিলেন। উত্তর কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই শোভাবাজার রাজবাড়ি। পলাশীর যুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ, এই রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচণা করেন।সে সময় এক রূপোর কারুকাজ করা সোনার সিংহাসনে মা দুর্গাকে বসানো হত। সেই সময় রাজবাড়িরতে পশুবলির নিয়মেরও চল ছিল। দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে পালন করা হত দশমীর রীতি। তবে বর্তমানে সেই সময়ের অনেক রীতিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শোলার নীলকন্ঠ পাখি বানিয়ে গ্যাস বেলুনের সাহায্যে তা উড়িয়ে অথবা মাটির পাখি বানিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে পালন করা হয় পুজোর নিয়ম। এই পরিবার নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে মহাদেবকে মায়ের রওনা হওয়ার খবর দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় এই রীতি।
আরও পড়ুন, আজ দশমীতে আকাশ মেঘলা, বিদায়ের সুরের মাঝেই প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই কলকাতায় সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার প্রতিমা নিরজ্ঞন হয়। গঙ্গার ঘাটগুলির মধ্যে জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, নিমতলা ঘাটে সব থেকে বেশি বিসর্জন হয়। কলকাতা পুরসভা সূত্রের জাান গিয়েছে, ৩ টি ঘাটে চারটে করে ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজে কদমতলা ঘাটে বার্জের ওপর ভাসমান ক্রেন থাকবে। আর পাড়ে থাকবে একটি। বাকি দুটি ক্রেন থাকবে নিমতলা আর বাজে কদমতলা ঘাটে। প্রতিমা জলে পড়লেই ক্রেন দিয়ে তোলা হবে কাঠামো। এবারও কোভি বিধি মেনেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। অপরদিকে গঙ্গার দূষণ এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনেই ফুল, মালা আর পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরে একটি গায়গায় ফেলতে হবে। কলকাতা পুরসভা অতিরিক্ত কর্মীও মোতায়েন করবে। মূলত কলকাতা পুরসভার প্রতিমা নিরঞ্জনে দুষণ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ প্রতিবারই ওঠে। তাই পুরসভা এবার হেস্টিংস এলাকার গঙ্গার একটি ঘাটে হোসপাইপ দিয়ে প্রতিমা গলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। পুরো বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হবে এবার। দায়িত্বে রয়েছেন, ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানাতে চায়নি কলকাতা পুরসভা।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে