সংক্ষিপ্ত
পুজোর ফ্যাশনে কারও চাই এক্কেবারে সিল্কের পঞ্জাবী তো সঙ্গে রঙ-বেরঙের ধুতি। আবার কেউ সপ্তমী-নবমীর সকাল বিকেলের সাজও ঠিক করে রেখেছেন। পুজো মানেই সুন্দর পোশাক, সঙ্গে মানানসই জুতো, আর সবকিছুর ফিনিশিং টাচে শরীর থেকে বের হওয়া ফুরফুরে সুগন্ধী। পুজো ফ্যাশনে কেমনভাবে সাজছেন অভিনেতা ভাস্বর। পৌঁছে গিয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
ভাস্বর চট্টোপাধ্য়ায়, অভিনেতা- আমার এ বছরের পুজো জমে গিয়েছে। মহেশবাবুর দুটো জামা কিনেছি অনলাইনে। তাই দিয়েই পুরো কাঁপিয়ে দেব! ভাবছেন, ভাস্বর এ সব কী বলছে? বাঙালির পুজোয় দক্ষিণী তারকা অভিনেতা মহেশবাবু ঢুকে পড়লেন কী ভাবে? তা হলে গুপ্ত কথা ব্যক্ত করি? মহেশবাবুর নামে একাধিক পোশাকের ওয়েবসাইট আছে। উনি যতগুলো ছবি করেছেন প্রত্যেকটি থেকে দুটো করে ওঁর পরা পোশাক বেছে, বানিয়ে বিক্রি হয় সেখানে। আমি মহেশবাবুর অন্ধ ভক্ত। তাই ওই সাইট থেকে সে রকম দুটো মহেশবাবু শার্ট কিনেছি।
আদতে দুর্গা পুজো মানেই আমার পারিবারিক পুজো। প্রতি বছর বাড়ির মা দুর্গার কাপড় কেনা দিয়ে কেনাকাটা শুরু করি। যদিও আমি অনলাইনে কেনার পক্ষপাতী। এক ক্লিকে একটা রঙের কত শেড! দোকান এত দেখাতে পারে? ঠেলাঠেলি নেই। গুঁতোগুঁতি নেই। নির্ঝঞ্ঝাটে শপিং সারো। নিশ্চয়ই বলবেন, যখন অনলাইন ছিল না, কী করতাম? তখন সকাল সকাল বা মাঝদুপুরে টুক করে চলে যেতাম দোকানে। চেষ্টা করতাম একবারে গুছিয়ে কিনে আনতে। এখনও যে একেবারে যাই না তা নয়। দেবীর শাড়ি অনলাইনে কেনার উপায় নেই। আর আমার বাবা কাপড় কিনে পোশাক না বানিয়ে পরবেন না। ফলে, এই দুটো কারণে এখনও দোকানে যাওয়ার চল রয়েছে। বাবাকে ইদানীং রঙিন টি-শার্টেও সাজাচ্ছি। বলেছি, বয়সটা নিছকই সংখ্যা। তুমি নির্দ্ধিধায় পরো। অনেকেই বলেন, বাবাকে নাকি বেশ মানায়!
এ বছর আমি আগেভাগেই গুছিয়ে কেনাকাটা সেরে ফেলেছি। বাবা, কাছের আত্মীয়দের উপহার দেওয়ার পালা শেষ। আমার পুজো মানেই দেশের বাড়িতে চারটে দিন। সেখানে সকাল কাটে পুজোর ঘরে, জোড় পরে। অর্থাৎ, সিল্কের ধুতি আর গায়ে সিল্কের উত্তরীয়। বিকেলে পাঞ্জাবি-পায়জামা। কয়েক বছর আগেও বাড়ির পুজো মিটলে ঠাকুর দেখার হিড়িক ছিল। তখন ক্যাজুয়াল পোশাকেই বেরোতাম। জিন্স, ট্রাউজার্সের সঙ্গে মানানসই টিশার্ট। পায়ে স্নিকার্স বা চপ্পল। জুতোর প্রতি দুর্বলতা আমার তেমন নেই। তা ছাড়া, পুজো বাড়িতে খালি পায়েই প্রায় কেটে যায় গোটা দিন।
এখন যেহেতু পরিবারের বাকিদের সঙ্গে বাড়িতেই থাকি তাই পাঞ্জাবি-পায়জামাতেই সন্ধে কাটে। আমি নিজেও পাঞ্জাবি পরতে ভালবাসি। দুটো পাঞ্জাবি কিনেছি। একটিতে সাদার উপরে লাল সুতোর কাজ। অষ্টমীর জন্য ওটাই বেছে রেখেছি। আর একটি ডিজাইনার পাঞ্জাবি। নানা রঙের সুতোর জমাটি কারুকাজ। বাড়তি পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পাওয়া উপহার। ‘দিদি’ও পাঞ্জাবি-পায়জামা দিয়েছেন। রংটা বেশ সুন্দর। পেঁয়াজের খোসার রঙের। ভাবছি, নবমীতে ওঁর দেওয়া পোশাকে সাজব।
সারা সকাল ধুতি পরলেও অষ্টমী বা দশমীর সন্ধে নির্দিষ্ট থাকে ধুতি-পাঞ্জাবির জন্য। এ বছরেও তাতে বদল নেই। আমার যে টুকু দুর্বলতা সেটা সুগন্ধি। নানা রকমের সুগন্ধি ব্যবহার করি। এটা অনেক বছরের অভ্যেস। সম্প্রতি, কাশ্মীরে এক বিশেষ ধরনের আতরের খোঁজ পেয়েছি। ওটা মেখে স্টুডিয়োয় এলেই সবাই নাক টানতে টানতে বলবেন, কী মেখেছিস রে ভাস্বর? দারুণ গন্ধ। কোথা থেকে কিনলি? আমি মুচকি হাসি। এ বছরের পুজো মহেশবাবুর জামা, ‘দিদি’র দেওয়া পাঞ্জাবি আর আতরের খোশবাইতেই মাতিয়ে দেব ভাবছি।
অনুলিখন- উপালি মুখোপাধ্যায়, সাক্ষাৎকার সংগ্রাহক প্রতিনিধি- উপালি মুখোপাধ্যায়
আরও পড়ুন-
পুজোর ফ্যাশনের কুর্তির নয়া ট্রেন্ড, দেখে নিন কোনদিন কেমন কুর্তি পরবেন
পুরোনো লেহেঙ্গাকে নতুন লুক দিতে চান, মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে পুজোর ফ্যাশনে নজর কাড়ুন এই টিপসে
কেমন হবে অষ্টমীর লুক? নাকে নথ, শাড়ি-গয়নায় কোয়েলের মতো সাবেকি সাজে সেজে উঠতে পারেন আপনিও