সংক্ষিপ্ত

সিলভার ওক এস্টেট ,রাজারহাট এবারও নতুন চমক নিয়ে, ধুমধাম করে পালন করতে চলেছে দুর্গাপূজা। "পট ও পুতুল এর মাঝে এস ই ও " এই থিমের সাথেই তারা তাদের সপ্তমতম দুর্গাপূজা উদযাপন করবে।এবার পটপুতুলের মধ্য দিয়েই সিলভার ওক এস্টেট এর হাত ধরে মা আসছেন স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে।  

সিলভার ওক- এর মুকুটে এবার সপ্তম পালকটি লাগতে চলেছে
২০১৬ থেকে পথ চলা শুরু সিল্ভার ওকের।  তারপর দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেকগুলো দিন।  এবার তাদের পুজো পড়তে চলেছে ৭ বছরে।

সিলভার ওক এস্টেট ,রাজারহাট এবারও নতুন চমক নিয়ে, ধুমধাম করে পালন করতে চলেছে দুর্গাপূজা। "পট ও পুতুল এর মাঝে এস ই ও " এই থিমের সাথেই তারা তাদের সপ্তমতম দুর্গাপূজা উদযাপন করবে।এবার পটপুতুলের মধ্য দিয়েই সিলভার ওক এস্টেট এর হাত ধরে মা আসছেন স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে।আর নতুন সাজঘরে  মেয়েকে বরণ করতে "এস ই ও " ও  একেবারে প্রস্তুত।  

৫০০- এরও বেশি সংখ্যক বাড়ি নিয়ে তৈরি হয়েছে সিলভার ওক এস্টেট।প্রতিবছর মাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে কোনো ত্রুটি রাখেনা তারা।এবারও তার অন্যথা হবেনা।বাংলায় মোট ২৩টি জেলার প্রত্যেক টিতেই নিজস্ব বিশেষ বিশেষ কিছু শিল্পকলা ও সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে।সিলভার ওক এস্টেট তাদের  এবারের  সাজসজ্জায় সেইসকল শিল্পের ছাপই  তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এবং তাদের মধ্যে পট ও পুতুলের বিভিন্ন সজ্জা বেশি  প্রাধান্য পাচ্ছে ।

সিলভার ওক এর এই থিম "পট ও পুতুল এর মাঝে এস ই ও " মূলত প্রতিটি জেলার হস্তশিল্পের তাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ।থিমটি প্রথমবারের মতো বাংলার ২৩টি জেলার প্রতিটি হস্তশিল্পের সারমর্ম।  সমৃদ্ধসাংস্কৃতিক এই ঐতিহ্যকেই মূলত তুলে ধরতেই  চেয়েছে এসইও।এসইও র এই উদযাপন শুধু বাসিন্দাদের জন্যই নয়।ঘরের মেয়ের এই আগমন উৎসব সমস্ত দর্শকদের উপভোগের জন্যও সমান খোলা থাকে।  ভাস্করশিল্পী প্রদীপ রুদ্র পালের হাতে এবার তৈরি হচ্ছে তাদের মাতৃমূর্তি।দূরদূরান্ত থেকে লোক ছুটে  আসে সিলভার ওকের এমন  নির্মল ও কল্যাণময়  মাতৃমূর্তি দেখতে। সারল্যই এই মূর্তির বৈশিষ্ট।  মা পরে থাকেন সুতির শাড়ী।  সহজ সরল গ্রাম্য মেয়ের সাজে সেজে ওঠেন ওখানে মা। সঞ্জায়  দাসের সৃজনশীল নির্দেশনায় এবার সেজে উঠছে সিলভার ওকের মন্ডল। আলোকসজ্জ করছেন এবারে বিশ্বজিৎ সরকার।  প্যান্ডেল ডিসাইনের দায়িত্বে আছেন সুরজিৎ সেন। 
 
পূজার সময় একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে  এবার।  তাদের মধ্যে 
প্রথম হলো  আনন্দমেলা উৎসব এই উৎসবে  বাড়ির শেফরা তাদের রান্নার দক্ষতা প্রদর্শন করবেন ।
দ্বিতীয়ত আবাসিকদের জন্য থাকছে  ঘরোয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, যেখানে  নাটক, আবৃত্তি, নাচ, গান প্রভৃতি পরিবেশন করতে পারবেন  ৮ থেকে ৮০ সকলে 
তৃতীয়ত স্বনামধন্য গায়ক অনীক ধর ও উর্মি চৌধুরী আসছেন এই পুজোয় গান গাইতে।  
চতুর্থত থাকছে মহাভোজ। এই চারদিন আবাসিকরা মণ্ডপেই পুজোর ভোগ খাবেন। আর খাওয়া দেওয়ার সাথেই চলতে থাকবে আড্ডা।

 
 
পুজো উদ্যোক্তা অভ্র পাল বলেন-"সিলভার ওক এর পুজো এবার ৭ এ পা দিলো। এবার তাদের থিম পট  ও পুতুলের মাঝে সিলভার ওক। প্রতিবছরের মতো এইবছর আছে আনন্দমেলা আছে চারদিনের পরিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০২০ সালে অতিমারীর কারণে পুজোর বাজেট বেশ কমে গিয়েছিল কিন্তু আবাসিকরা অনারম্বর এই মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলেছিল যামিনী রায়ের থিমে। ক্যানভাসে  ছবি এঁকে।  ২০২১ সালে আবাসিকরা তুলি দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়েছিলেন  পটচিত্র দিয়ে। আমাদের  এই বছরের থিম কুল পেইন্টিং।  প্রতিটি আবাসনের পুজোর মতো এই পুজো ও আবাসিকদের দ্বারা ও আবাসিকদের জন্য।  আবার অন্য আবাসনের পুজোর থেকে এই পুজো একটু আলাদাও বটে।  সিলভার ওকের একটি প্রচেষ্টা বাঙালি ঐতিহ্যকে  পরের প্রজন্মের হাতে সমর্পিত করার।  তাই এই চারদিন আমরা  প্রত্যেকটি ছোট ছোট বাঙ্গালী মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করি।  উৎসাহিত করি  প্রত্যেকটি বাঙালি ক্ষুদ্রশিল্প , অঙ্কনশিল্প,  গান আড্ডা নাচ এগুলো নিয়েই যাতে আবাসিকরা মেতে উঠতে পারেন।  আমরা  আশা রাখি বাঙ্গালী প্রজন্ম এই বাঙালি ঐতিহ্যকে ধরে রাখবেন এবং সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন । তাতে যদি হেমন্তের পরিবর্তে মণ্ডপে অনুপম বাজে তাহলে তাতে সিলভার ওক এস্টেট খুব একটা আপত্তি করবেন না