সংক্ষিপ্ত
জোড় কদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। এবছর সাঁঝবাতি দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজো প্যান্ডেল। বাঙালির এক ঐতিহ্য তুলে ধরতে চলেছেন বড়িশা ক্লাব কমিটি। শিল্পীরা ব্যস্ত সেই প্যান্ডেল নির্মানে।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজোগুলোর তালিকা তৈরি করতে গেলে প্রথম সারিতেই স্থান পায় বড়িশা ক্লাবের দুর্গোৎসব। প্রতি বছর এক অনন্য চিন্তাধারা তুলে ধরেন তারা। গত বছরের থিম ছিল ভাগের মা। সে ছিল এক অদ্ভুত সুন্দর নিদর্শন। এনআরসি এবং অতিমারিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগের বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল থিমে। বাংলার অতি পরিচিত প্রবাদ হল ভাগের মা। এক সময় বাংলাদেশ ভাগ হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সেই সময় মানুষের যন্ত্রণার প্রতিফলন হয়েছিল এই পুজোয়। উদ্বাস্তু হওয়ার সেই যন্ত্রণা উঠে এসেছিল থিমে। মা দুর্গা ও তার সন্তানদের পরিযায়ী হিসেবে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছিল এই ভাবনায়। সেই কারুকার্য গড়েছিল এক নিদর্শন। এই কাজের জন্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা। বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২১-এর সেরার সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছিল বড়িশা ক্লাব। যা ছিল এক বিশেষ সম্মান।
এবারও মনে হচ্ছে তার অন্যথা হবে না। জোড় কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। এবছর সাঁঝবাতি দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজো প্যান্ডেল। বাঙালির এক ঐতিহ্য তুলে ধরতে চলেছেন বড়িশা ক্লাব কমিটি। শিল্পীরা ব্যস্ত সেই প্যান্ডেল নির্মানে। সাঁঝবাতি -র থিমে একেবারে অন্যরকম ভাবনার প্রকাশ করতে চলেছেন তারা। এবছর প্রতিমা তৈরি করবেন শিল্পী রিন্টু দাস।
এদিকে, ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে দুর্গা পজোকে। সে কারণে ইউনেস্কোকে সম্মান জানিয়ে ২২, ২৩, ২৪ সেপ্টেম্বর আর্ট ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২২টি ক্লাবের পুজো মন্ডপে হয় আর্ট ফেল্টিভ্যাস। আর এই তালিকায় আছে বড়িশা ক্লাব। সে কারণে কদিন আগেই কার্টেন রেইজার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সে যাই হোক, এবছর ৩৪ বছরে পা রাখতে চলেছে বড়িশা ক্লাবের পুজো। সে কারণে পুজোয় থাকবে নতুন চমক। চলছে তারই প্রস্তুতি। প্যান্ডেল নির্মানের কাজে হাত লাগিয়েছেন শিল্পীরা। প্রতি বছর বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাব কতৃপক্ষের মতে, মুখ্যমন্ত্রী যে দিন বড়িশা ক্লাবের দুর্গোৎসব উদ্বোধনে সময় দিতে পারবেন সেদিনই উদ্বোধন করবেন তারা।
এদিকে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরই মর্ত্যে আসবেন মা দূর্গা। ইতিমধ্যে গণেশ পুজো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছর গণেশ পুজো দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসব। তারপরই মর্ত্যে আসেন মা দূর্গা। আর মাত্র ২৩ দিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হবে দেবী বন্দনা।
আরও পড়ুন- ছকভাঙা পুজোর অন্যরকম গল্প, জোরকদমে মায়ের আবাহনের প্রস্তুতি হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের
আরও পড়ুন- জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো মণ্ডপে শরতে বর্ষার আমেজ, অন্য পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা