সংক্ষিপ্ত
২০২২ সালের দুর্গাপুজায় ভিন্ন 'দৃষ্টিকোন-এ হবে বিবেকানন্দ পার্কের দুর্গা পুজা। ২০২০ সালে সদ্য পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছে কলকাতার অন্যতম নামী বিবেকানন্দ পার্কের পুজো। সেই সময় অতিমারি পরিস্থিতির জেরে নম নম করে সাড়তে হয়েছিল পুজো।
ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা, তারপরই মা আসছেন সপরিবারে। তারই প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে তিলোত্তমা। কোথায় থিম পুজোর হিড়িক, আবার কোথাও প্রথা মেনে সাবেকি আদলেই হচ্ছে পুজো। ক্লাবে ক্লাবে এখন তুঙ্গ ব্যস্ততা। পাড়ায় পাড়ায় চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। শহরের ইতিউতু ছড়িয়ে রয়েছে ছাতিমের গন্ধ।
২০২২ সালের দুর্গাপুজায় ভিন্ন 'দৃষ্টিকোন-এ হবে বিবেকানন্দ পার্কের দুর্গা পুজা। ২০২০ সালে সদ্য পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছে কলকাতার অন্যতম নামী বিবেকানন্দ পার্কের পুজো। সেই সময় অতিমারি পরিস্থিতির জেরে নম নম করে সাড়তে হয়েছিল পুজো। অবশেষে দু'বছর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী এই পুজো। ক্লাবের পুজো কমিটির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট তনময় দত্ত জানিয়েছেন, এবারের তাঁদের পুজোর থিম 'ভিন্ন দৃষ্টিকোন'। মণ্ডপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন ভাবে ধরা দেবে এই থিমের অর্থ। মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা সজ্জায় থাকছেন রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সুশান্ত পাল। তিনি আরও জানান,"ইউনেস্কো থেকে কলকাতার যে ২০টি পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল আমাদের বিবেকানন্দ পার্কের পুজো। আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছ'টা থেকে ভোর ছ'টা পর্যন্ত ইউনেস্কোর তরফ থেকে শুটিং চলবে মণ্ডপে। শুধু তাই নয় লাইফ টেলিকাস্টও করা হবে।"
আরও পড়ুন - ক্রেনে চড়ে মণ্ডপে পৌঁছল মা দুর্গা, বেনিয়াটোলায় এক টনের প্রতিমায় দুর্গাপুজা
মূলত প্লাই, কাঠ ও লোহা দিয়েই তৈরি হবে মণ্ডপের যাবতীয় সাজসজ্জা। মণ্ডপের অনেকটা উচুতে গোলাকার বৃত্ত করে থাকবে প্রতিমা রাখার ব্যবস্থা। মণ্ডপের কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও পুজো উদ্বোধনের দিন এখনও ঠিক হয়নি বলেই জানিয়েছেন তনময় বাবু। তবে মহালয়ার আগেই মণ্ডপের কাজ শষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - সাক্ষাৎ যেন দেবী দূর্গা, ত্রিশূল হাতে ছবি পোস্ট ঋতাভরীর, মাতৃরূপে মুগ্ধ অনুরাগীরা