সংক্ষিপ্ত
- বৃহস্পতিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নাগেরবাজার
- বিজেপি-সিপিএম টাকার লেনদেনের অভিযোগ তোলে তৃণমূল
- ভাঙচুর হয় মুকুল রায়ের গাড়ি
নাগেরবাজার কাণ্ডে এবার নতুন মোড়। ঘটনার সঙ্গে কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে বড়সড় অভিযোগ তুললেন খাদ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাল্টা জ্যোতিপ্রিয়র নামে মানহানির মামলা করার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মানস।
বিজেপি এবং সিপিএম নেতাদের মধ্যে টাকার লেনদেনর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে দমদমের নাগেরবাজারে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়, দমদমের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করেন তৃণমূল সমর্থকরা। অভিযোগ, একটি গেস্ট হাউজে বসে টাকার লেনদেন হচ্ছিল বিজেপি এবং সিপিএম নেতাদের মধ্যে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে মুকুল জানান, একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে তিনি নাগেরবাজারে গিয়েছিলেন।
ঘটনার প্রায় দু' দিন পরে একটি খাম দেখিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই খামটির গায়ে মানসবাবুর নাম লেখা রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, খামের ভিতরে যে কাগজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা যাচ্ছে ভোট কেনাবেচার জন্য বিজেপি-র সঙ্গে মানসবাবুর তিন লক্ষ নব্বই হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। শুধু তাই নয়, কামারহাটি এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৃণমূলের বেশ কয়েকজন পুর পারিষদকে যাতে শনিবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গ্রেফতার করা যায়, সেই নামের তালিকাও দেওয়া ছিল ওই খামের মধ্যে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, "মুকুল রায়কে ধরে চেষ্টা করছে আমাদের লোকজনকে যদি শনিবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গ্রেফতার করাতে পারে, তাহলে ওরা আর রবিবার ভোট করাতে পারবে না।" এই খামের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ঘটনার দিন মুকুল রায়ের গাড়ির নীচ থেকে ওই খাম উদ্ধার হয়।
এই অভিযোগের পাল্টা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক। তাঁর দাবি, ভোটে অশান্তি পাকাতে পারেন এমন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামে তিনি সত্যিই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে টাকার লেনদেনের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, "ওই দিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম, এ কথা জ্যোতিপ্রিয় প্রমাণ করতে না পারলে ওঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ তো বটেই, আদালতে মানহানির মামলাও করব।"