সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি অনেকেরই ধারণা হয়েছে দক্ষিণী ছবিগুলির সাফল্যের ভারে হয় টি হারিয়ে যাচ্ছে বলিউড প্যাশন, বলিউড প্রেম। মানুষ অতিরিক্ত মাত্রায় দক্ষিণী ছবিকে আপন করে নিয়েছেন, এবার এই বিতর্ক উড়িয়ে দিলেন অভিষেক বচ্চন। কী বললেন জানেন?
 

এক সময় ভারতীয় সিনেমার কেন্দ্র বিন্দু ছিল বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এর বাইরে বাংলা, তামিল, তেলেগু, মালায়ালম এই ধরণের সকল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলির খ্যাতি ছিল কেবলই আঞ্চলিক। এবার সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।  বাহুবলি, কেজিএফ থেকে পুষ্প দ্য রাইস, আরআরআর, কেজিএফ ২ এই প্রত্যেকটি সিনেমাই সারা দেশ জুড়ে মানুষের মন জয় করেছে। তবে এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।  অনেকেই বলছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয়তা এতটা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিন্দি সিনেমার সাফল্য খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। তবে এই ধারণা আদৌ কি যথার্থ? সত্যিই দক্ষিণী সিনেমার জন্যই বক্স অফিসে চূড়ান্ত সাড়া ফেলতে পারছে না হিন্দি সিনেমাগুলি? এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক বচ্চন।  

ঠিক কী বলেছেন জুনিয়র বচ্চন?

সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন জানিয়েছেন, 'চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এটি একটি চমৎকার সময়। আমি কখনওই সিনেমাকে এইভাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে পারব না।' এরপর দক্ষিণী সিনেমার সাফল্য প্রসঙ্গে অভিষেকের সাফ জবাব, 'আমি মনে করি যদি একটি ভালো ছবি তৈরি হয় তাহলে তা দর্শক আপন করে নেবেই। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এখানে এর থেকে বেশি তো আমি আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না।' অভিষেক বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন, 'প্রতিটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই তাঁদের নিজের মত করে ভালো সিনেমা বানানোর চেষ্টা করছে। আমরা হয় তো এত কিছুর মাঝে ভুলে গেছি যে দক্ষিণী সিনেমার পাশাপাশি কীভাবে  সূর্য্যবংশী, গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়ারির মত হিন্দি সিনেমাগুলো ও চূড়ান্তভাবে সফলতা পেয়েছে।' 

এরপর তিনি আরও বলেন যে 'দিনের শেষে আপনি কতটা আপনার দর্শককে বিনোদন দিতে সক্ষম সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। কারণ দর্শক শুধু ওই বিনোদনটুকুই আপনার থেকে আশা করে, আর কিছু নয়।' এরপর এই সিনেমাগুলি কোনও নির্দিষ্ট সময়ের প্রত্যাবর্তন কি না জিজ্ঞেস করা হলে অভিষেক বচ্চন জানান যে, 'আমি জানি না এটা কোনও যুগের প্রত্যাবর্তন কি না তবে আমার এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে যে অতিমারির সময় কাটিয়ে সিনেমা হলগুলি আবার হাউজফুল হচ্ছে।  এই সিনেমাগুলি যে এতটা সফলতা পেয়েছে তাতে আমি সত্যিই ভীষণ খুশি। কারণ আমার মনে হয়, 'এটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য খুব অসাধারণ একটা সময়।' 

আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! চর্চিত প্রেমিক সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে ব্রেকআপ গুঞ্জনের মাঝে এ কি করে বসলেন কিয়ারা আডবাণী?

আরও পড়ুন- বিয়ের আগেই কী কোনও সমস্যা, হঠাৎ কেন ভাড়া বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত রাহুল-আথিয়ার

আরও পড়ুন- স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছবি মিত্তল, অপারেশনের আগে নাচের ভিডিও হু হু করে ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

এরপর প্যান ইন্ডিয়া ছবি প্রসঙ্গে অভিশে বলেছেন, 'আমি বুঝি না এই প্যান ইন্ডিয়া শব্দিতর অর্থ কী? আমার এই শব্দটা ব্যবহারেই ঘোর আপত্তি আছে। কারণ সিনেমা প্রেমীদের কাছে সিনেমাটাই আসল প্রাধান্য পাওয়া উচিত, সিনেমাটা কোন ভাষায় বানানো হয়েছে সেটা নয়।' এমন কি হিন্দি সিনেমায় যে দক্ষিণী সিনেমার রিমেক বানানো হয় তাতে বলিউডের কাছে ছবির বিষয়বস্তুর অভাব আছে কি না? সেই প্রশ্নের ও কঠোর বিরোধিতা করেছেন অভিহসিক বচ্চন। তিনি জানান, 'আপনি কি বলতে চান দক্ষিণে হিন্দি সিনেমার রিমেক বানানো হয় নি? আমরা সবাই ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ। আমরা ভিন্ন ভাষায় কাজ করতে পারি কিন্তু আমরা একই শিল্পের অংশ।  কখনওই সিনেমাকে কোনও একটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির তকমা দেওয়া উচিত নয়।  হিন্দি বা যে কোনও ভাষার সিনেমারই রিমেক হয়েছে, এটা নতুন কিছু নয় এবং এর মধ্যে কোনও অন্যায় ও নেই।