সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলার মৃতদেহের হাতে থেকে নিজের গলায় মালা পড়ে নিচ্ছেন সব্যসাচী। ছবি অতটা স্পষ্ট না হলেও এই ভিডিও তোলপাড় করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে জানলে অবাক হবেন এই ভিডিওটি মোটেই ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর নয়।
ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর আগে থেকেই তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ সব্যসাচী থেকে তাঁর ফ্যানেরা। তার খামতি হলো না মৃত্যু শেষ মুহূর্তেও। ক্রমেই ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলার মৃতদেহের হাতে থেকে নিজের গলায় মালা পড়ে নিচ্ছেন সব্যসাচী। ছবি অতটা স্পষ্ট না হলেও এই ভিডিও তোলপাড় করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে জানলে অবাক হবেন এই ভিডিওটি মোটেই ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর নয়।
শুনে অবাক মনে হলেও এই ঘটনা অসমের মরিগাঁওয়ে বিটুপন তামুলী নামে বছর ২৭-এর এক যুবকের। ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর মতো তাঁদের প্রেমের পরিণতিও সুখের ছিল না। অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা বিটুপনের দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্ক ছিল প্রার্থনা বোরার সঙ্গে। অসুস্থতার কারণে অসমের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ঐন্দ্রিলার মত প্রার্থনারও আর ফিরে আসা হয়নি।
জীবনের কঠিন এই লড়াইতে সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পারি দিয়েছেন প্রার্থনাও। তবে প্রার্থনার মৃত্যুর পর বিটুপন যা করেছে তাতে শোরগোল পড়েছে এলাকা-সহ সামাজিক মাধ্যেমেও। প্রার্থনার মৃতদেহের সামনে বসে অঝোড়ে কাঁদতে শুরু করেন বিপটুন। এরপরেই বিয়ের সরঞ্জাম কিনে এনে প্রার্থনার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন তিনি। কপালে পড়িয়ে দেন লাল সিঁদুরের টিপ।
এরপর প্রার্থনার গালে সিঁদুর লাগিয়ে ও হাতে ছুঁইয়ে নিজের গলায় বরমালা পড়ে নেন বিপটুন। বিয়ের প্রাথমিক আচার -অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘আমার বিয়ে হয়ে গেল তোমার সঙ্গে। এই জন্মে আমি তোমার। আমি আর কাউকে বিয়ে করব না।’
বিপটুন-এর এই কথা শুনে উপস্থিত সকলেই শোকে ভেঙে পড়েন। বিটুপন-প্রার্থনার এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন তাঁরা তাই শেষ যাত্রায় প্রার্থনাকে দেওয়া কথা রাখলেন বিপটুন। সব্যসাচী বিপটুনরা প্রেমের এক অন্য নজির গড়ে দিলেন যা ভালোবাসার প্রতি মানুষের আরও বিশ্বাস করার শক্তি জোগাবে।