সংক্ষিপ্ত
বাড়ি ফেরানো হল না ঐন্দ্রিলাকে। রবিবাসরীর দুপুরেই মিলল দুঃসংবাদ। দুপুর ১২.৫৯ নাগাদ সবার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ।
অনন্তের পথে ঐন্দ্রিলা। শেষ হল ১৯ দিনের লড়াই। সকলের পার্থনা চেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা। পড়ে রইল তাঁর 'জীয়নকাঠি' সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন সব্যসাচী। প্রেমিকার অসুস্থতা থেকে শেষ কৃত্যের সাক্ষী থাকলেন তিনি। স্থবির দৃষ্টিতে করলেন শেষ মুহূর্তের সমস্ত কর্তব্যও। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর জলস্পর্ষ করছেন না সব্যসাচী। কারোর সঙ্গে বিশেষ কথাও বলেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলার অন্তেষ্টি ক্রিয়ার আয়োজন করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। শূন্য দৃষ্টিতে ঐন্দ্রিলার নিথর দেহের তাকিয়েছিলেন তিনি। ১৯ দিনের লড়াই শেষে কেবল অনন্ত শূন্যতা সব্যসাচীর সামনে।
বাড়ি ফেরানো হল না ঐন্দ্রিলাকে। রবিবাসরীর দুপুরেই মিলল দুঃসংবাদ। দুপুর ১২.৫৯ নাগাদ সবার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ। ১৯ দিনের লড়াই শেষে ঐন্দ্রিলার নিথর দেহর দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ সব্যসাচী। রবিবার বিকেলেই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয় ঐন্দ্রিলার। বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ কুঁদঘাটের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয় মৃতদেহ। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়। সেখান থেকে কেওড়াতলায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ঐন্দ্রিলার মুখাগ্নি করলেন বাবা উত্তম শর্মা ও বন্ধু সব্যসাচী। গোটা ঘটনায় একেবারে স্থবির সব্যসাচী।
তৃতীবার আর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। ডাক্তারদের বক্তব্য এই ধরণের ক্যানসার একবার ফিরে এলে তা নিরামূল করা খুবই কঠিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময়ের পাঁচ বছরের মাথায় এই ক্যানসারের ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎকদের বক্তব্য নীরবে মাথায় ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যানসার। তার থেকেই একাধিকবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর ‘ইউয়িংস সারকোমা’ রোগে ভুগছিলেন ঐন্দ্রিলা। এটি হাড় ও হাড়সংলগ্ন নরম টিস্যুর ক্যানসার। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে এই ধরনের ক্যানসার নিরাময়ের পরও ফের ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর একবার ফিরে এলে নিরাময় হওয়া অত্যন্ত কঠিন। ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রও দু'বার নিরাময়ের পরও তৃতীয়বার ফিরে এসেছিল ক্যানসার। এবারে একেবারে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যানসার। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে ‘মেটাস্টেসিস’।
আরও পড়ুন -
এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্য, ক্যান্সার জয়ী 'ফাইটার'ঐন্দ্রিলার জীবনযুদ্ধকে ফিরে দেখা
ঐন্দ্রিলার লড়াইকে কুর্নিশ, তবু ভয়ে কোনও দিন হাসপাতালে দেখতে যেতে পারিনি: অনির্বাণ চক্রবর্তী
'সবই বৃথা তোমায় ছাড়া', পঞ্চভূতে বিলীন ঐন্দ্রিলা, মুখাগ্নির সময়ও পাশে ছিলেন সব্যসাচী