সংক্ষিপ্ত

সোমবার সন্ধেয় সব্যসাচীর পোস্ট পড়ে সাধারণ, অ-সাধারণ একাকার। জীতু কমল বদলে ফেলেছেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল। সেখানে জ্বলজ্বল করছে সব্যসাচীর ছবি।

গত সোমবার ভরসা দিয়েছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী, ‘আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল ঐন্দ্রিলা।’ এক সপ্তাহ পরে সেই তিনিই ভেঙে পড়েছেন! লিখেছেন, ‘মন থেকে প্রার্থনা করুন ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য। মেয়েটা সীমার বাইরে গিয়ে লড়ছে। এক মাত্র দৈব শক্তিই ওকে বাঁচাতে পারবে।’ তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ কাতর আর্তিতে, ‘ফিরে এস ঐন্দ্রিলা, তাকিয়ে দেখ আমরা তোমার পাশে!’ সোমবার সন্ধেয় সব্যসাচীর পোস্ট পড়ে সাধারণ, অ-সাধারণ একাকার। জীতু কমল বদলে ফেলেছেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল। সেখানে জ্বলজ্বল করছে সব্যসাচীর ছবি। ছোট পর্দায় ‘সাধক বামাখ্যাপা’র চরিত্রে অভিনয়ের সময় বড় মা-র মূর্তি জড়িয়ে ধরতেন তিনি। সেই ছবিই এখন জীতুর প্রোফাইল। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘ঈশ্বরকেও কখনও কখনও মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন...যে এই ছেলেটির নাম সব্য।’

 

 

সব্যসাচীর পোস্ট থেকে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ওরফে ছোট পর্দার ‘রাহুল’ অকপটে লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলাকে কিছুই লিখিনি ফেসবুকে। খালি মনে মনে প্রার্থনা করে গিয়েছি, যেন মেয়েটা সুস্থ হয়ে ওঠে তাড়াতাড়ি। আজকে শট দিতে যাওয়ার আগে সব্যসাচীর পোস্টটা বুকে লাগল আবার। একটাই প্রার্থনা, ঐন্দ্রিলা আগেও যেভাবে ফিরে এসেছে, এবারও যেন তারই পুনরাবৃত্তি হয়।’ পাশাপাশি, সব্যসাচীর একনিষ্ঠ প্রেম তাঁকে আপ্লুত করেছে। তিনি বিস্মিত, সহ-অভিনেতার এই আন্তরিক ভালবাসায়। একই সঙ্গে আফসোস, ভগবান আর এদের মতন প্রেমিক বানায় না! নিঃস্বার্থ ভালবাসা কাকে বলে, এরাই জানে। পাশে দাঁড়াতে এরাই জানে।’ সব্যসাচীর সঙ্গে নিজের তুলনাও টেনেছেন তিনি, ‘আমরা খালি ফেসবুক করি। লজ্জা হয় আয়নার সামনে দাঁড়াতে।’

 

 

যখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তখন ঐন্দ্রিলা যেচে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। হাসপাতালে নিজেই দেখতে এসেছিলেন গৌরব রায়চৌধুরীকে। এই আন্তরিকতা কী করে ভোলেন অভিনেতা? ফের অসুস্থ অভিনেত্রী, এ কথা জানার পরেই অজানা ঘটনা প্রকাশ্যে এনে দাবি তাঁর, ‘সে দিন থেকেই মেয়েটিকে স্নেহ করি। ওর খারাপ কিছু হতেই পারে না।’ সব্যসাচীর পোস্ট দেখার পরেই ঐন্দ্রিলার ছবি নিজের ফেসবুকে পিন পোস্ট করেছেন গৌরব। একই সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস নায়িকাকে, ‘সুস্থ হয়ে ওঠো। আমরা সবাই আছি। সব সময় তোমার জন্য আমার প্রার্থনা, শুভকামনা রয়েছে।’ একই কথা লিখেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তও, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট। তুমি সব বাধা পেরিয়ে আসতে পারবে। তুমিই আমাদের বিশ্বাস, আশা। তোমার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা, এক বুক ভালবাসা।’