সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ কাতর আর্তিতে, ফিরে এস ঐন্দ্রিলা, তাকিয়ে দেখ আমরা তোমার পাশে!

জ্বর রয়েছে, সংক্রমণও। ফের লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাওড়া বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স চালু হয়েছে। তাতে ঐন্দ্রিলা কেমন সাড়া দেন, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি চিকিৎসকের দল। ভেন্টিলেশনেই আছেন অভিনেত্রী। সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন। এই মুহূর্তে খুব একটা উন্নতি চোখে পড়ছে না। সম্ভবত, এই খবর জানার পরেই ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। ফেসবুকে সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই প্রথম তাঁর কথাতেও যেন হতাশার সুর স্পষ্ট। তিনি নিজেই দৈব শক্তি বা অলৌকিক ঘটনার উপরে নির্ভর করা ছাড়া আর উপায় দেখতে পাচ্ছেন না। সব্যসাচীর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে আছড়ে পড়েছে তারকাদের মন্তব্য। প্রত্যেকে সব্যসাচীকে ভরসা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে অচৈতন্য ঐন্দ্রিলার সাড় ফেরাতে মন্ত্রের মতো জপছেন, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’!

অথচ এক সপ্তাহ আগেও সব কিছু অন্য রকম ছিল। একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন নায়িকা। গত সোমবার সে খবর জানিয়ে ফেসবুক পাতায় কলমও ধরেন সব্যসাচী। এ দিন বিকেলে তিনি লিখেছিলেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে।’ সব্যসাচীর তরফ থেকে এই খবর আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন দুই অভিনেতার হাজার হাজার অনুরাগী। তাঁরা তো মন থেকে এটাই চেয়েছিলেন! তাঁদের চোখে ঈশ্বরের প্রতিনিধি ছোট পর্দার সাধক ‘বামদেব’। যিনি বারবার মুত্যুর মুখ থেকে তাঁর ঐন্দ্রিলাকে জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন।

 

 

এক সপ্তাহের মধ্যেই কি বদলে গেল গোটা পরিস্থিতি? যিনি চূড়ান্ত বিশ্বাসে বলেছিলেন, ‘আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি আমিই ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব’— সেই আশ্বাস কই? সব্যসাচীকে ভরসা দেওয়া আর ঐন্দ্রিলার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর উপায় দেখছেন না টেলিপাড়ার তারকা এবং সাধারণ অনুরাগীরাও। সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ কাতর আর্তিতে, ফিরে এস ঐন্দ্রিলা, তাকিয়ে দেখ আমরা তোমার পাশে!