সংক্ষিপ্ত

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন বামাক্ষ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এবার ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিলেন ঐন্দ্রিলার সব্য।

দীর্ঘ ১৯ দিন ধরে লড়াই চালিয়েও আর শেষরক্ষা হল না। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডে। সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তার সমস্ত ভক্তরা। বিশেষ করে ঐন্দ্রিলার প্রিয় সব্যর যেন পুরো বিষয়টা মানতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। ভালবাসার মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। একরাশ স্মৃতিই এখন সব্যসাচীক সঙ্গী। মিষ্টিকে হারিয়ে কেমন আছেন সব্যসাচী, তা জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। তবে তিনি যে ভাল নেই তা সকলেরই জানা। ঐন্দ্রিলার শেষ ইনস্টা পোস্টে এখনও জ্বলজ্বল করছে সব্যসাচীর ছবি। তবে সেই মানুষটা আর নেই। তাই লোকদেখানো নয় বরং অন্তরের স্মৃতিতে থাকুক ঐন্দ্রিলা, তেমনটাই চাইছেন সব্যসাচী চৌধুরী।

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন বামাক্ষ্যাপা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এবার ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিলেন ঐন্দ্রিলার সব্য। যেখানে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার নিত্যদিনের আপডেট দিতেন সেই জায়গাটাই আর রাখেননি অভিনেতা। এবার ইনস্টা থেকে সরে গেলেন অভিনেতা। আসলে যাকে নিয়ে এত লেখালিখি সে যখন নেই তাহলে আর থেকে কি হবে, সমস্ত স্মৃতি মনে আকড়ে ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে যাচ্ছেন সব্যসাচী চৌধুরী, তেমনটাই মনে করছেন ভক্তদের একাংশ।

 

 

ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই। এটা যেন এক মুহূর্তের জন্য বিশ্বাস হচ্ছে না কারোর। এত যে কিসের তাড়া ছিল যাওয়ার, এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সব্যসাচীকে। ভালবাসার মানুষ চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেছে। আর ডাকলেও সে সাড়া দেবে না। তবে তাদের রূপকথার ভালবাসার সাক্ষী রয়েছে গোটা শহর, গোটা সমাজ। ঐন্দ্রিলা চলে গেলেও সে রয়ে গেছে সকলের মনে, সকলের হৃদয়ে। রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে গেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। মৃত্যুর সঙ্গে অদম্য লড়াই শেষ হয়ে গেল রবিবার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল গত কয়েকদিন ধরেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছিল। আর ফিরল না জ্ঞান। হাওড়ার হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন টলি অভিনেত্রী। গত ১৪ নভেম্বর থেকেই ঐন্দ্রিলার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। বারেবারেই স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল হৃদযন্ত্র। তবে গতকাল রাতের বেলার ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সকলেই যখন উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেন অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। আর তখন থেকে সকলের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। অবশেষে এল দুঃসংবাদ। ঐন্দ্রিলার মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না প্রিয়জন তথা ভক্তরা। গোটা টলিপাড়া শোকস্তব্ধ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে।