সংক্ষিপ্ত
কথাটা কতটা ভিত্তিহীন সেটা বোঝাতেই এই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সে সময়ে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষে বিদ্ধ হতে হয়েছিল।
পুজোর সময়ের একটি পোস্ট। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর তরফের। সেটিতে দেখা দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ভাগ করে নিয়েছেন সমাজ শুধরে নেওয়ার কিছু মন্ত্র। ঐন্দ্রিলা নিজেও ভীষণ ভাবে নারীবাদী। এবং সাম্যবাদী। লিঙ্গভেদ মানেন না। নারী-পুরুষ সমান সমান তাঁর চোখে। এবং যে কোনও জিনিস তিনি অর্জন করতে ভালবাসেন। অর্থাৎ, পরিশ্রম করে, লড়াই করে জিততে ভালবাসেন। তাই তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডেও সে রকমই কটাক্ষ, ‘মা ডিভোর্সী হলে মেয়ে তো এ রকমই হবে!’ আকছার এই ধরনের বাঁকা কথা মেয়েদের উদ্দেশ্যে উড়ে আসে যখনতখন। বিশেষ করে সেই সব মেয়েদের ক্ষেত্রে, যাঁরা একা বাঁচেন। যাঁরা ‘একা মা’।
কথাটা কতটা ভিত্তিহীন সেটা বোঝাতেই এই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সে সময়ে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষে বিদ্ধ হতে হয়েছিল। জনৈক তাঁর এই প্ল্যাকার্ড হাতে ছবির নীচে লিখেছিলেন, ‘কথাটা ১০০ শতাংশ ভুলও নয়!’ অর্থাৎ, তিনিও বাকিদের মতো বিশ্বাস করেন, বিবাহ-বিচ্ছিন্নার কন্যা সন্তান সোজা পথে নাও হাঁটতে পারে! সেও তার মায়ের মতোই ‘অন্য রকম’ হতেই পারে। তখন বিজয়া দশমী। অভিনেত্রী দ্বিতীয় বার ক্যান্সারকে হারিয়ে জিতে ফিরেছেন। প্রায় আগের মতোই সুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চোখে ওই মন্তব্য ধরা পড়েছিল। সে দিন তিনি চুপ থাকেননি। সাফ জানিয়েছিলেন, ‘আজ একটা পোস্ট করেছিলাম behalf of hoichoi। তাতে এই কমেন্টটি পেলাম। সত্যি মানসিকতা চেঞ্জ না হলে সমাজ চেঞ্জ হবে না। মা এর বিসর্জন হতে না হতেই মা-কে রাস্তায় টেনে আনা শুরু!’
ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হতেই তাঁর সেই পুরনো পোস্ট আবার ভাইরাল। সে দিন তাঁর সমর্থনে ফেসবুকে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। এক পুরুষ অনুরাগীর বক্তব্য ছিল, ‘এক জন ডিভোর্সি হোক আর না হোক, মানুষের প্রতি মানুষের ব্যবহার সর্বদা প্রফুল্ল চিত্ত হয়ে একে অপরকে কাছে টেনে নেওয়ার হওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। আমিও ডিভোর্সি। এর জন্য আমাকে আজ অবধি কোথাও ছোট হতে হয়নি। বরং সবাই আমায় কাছে টেনে নিয়েছে। এই মানসিকতার বিচ্ছুরণ সমাজে যত হবে, ততই আমরা সুস্থ সমাজের দিকে এগোতে থাকব।’ আরও এক অনুরাগিনীর মতে, ‘মা ডিভোর্সি হলেই মেয়ে খারাপ এটা এক দমই নয়। আর মায়ের ডিভোর্স হয়েছে তো বাবার সঙ্গেই। ডিভোর্স মানেই কাউকে খারাপ সব সময় হতেই হবে তা নয়। দুটো মানুষের তিক্ত সম্পর্কের বোঝা টানার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া অনেক ভাল।’
আরও পড়ুন:
ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর এখন কেমন আছেন 'জিয়নকাঠি' নায়িকা
'ঐন্দ্রিলা, পাশে আছি, এবারেও জিতে ফিরে আয়!' সুদীপ্তা, রাহুল, দেবলীনা, অনীক দত্তের আর্তি
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ফের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ! 'ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট'