সংক্ষিপ্ত
রাত যত গড়িয়েছে টলিউড তারকারা মুখর ফেসবুকে। প্রত্যেকে এই খবরে শোকাহত, বাকরুদ্ধ। কুর্নিশ জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার লড়াইকে।
ভাল নেই ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাই ভাল নেই টলিউডও। দু’বার ক্যান্সারের পরে অভিনেত্রী ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। বুধবার সন্ধেয় সে খবর ছড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। রাত যত গড়িয়েছে টলিউড তারকারা মুখর ফেসবুকে। প্রত্যেকে এই খবরে শোকাহত, বাকরুদ্ধ। পরিচালক অনীক দত্ত, অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরব রায়চৌধুরী, মানসী সিংহ, অলিভিয়া সরকার সুস্থতা কামনা করেছেন। কুর্নিশ জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার লড়াইকে। কী লিখেছেন তাঁরা?
অনীক দত্তের মতে, ‘বুক ভেঙ্গে দেওয়া খবর। ওর মনের জোর দেখে বিস্মিত হতাম।’ প্রথম সারির পরিচালক প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সব্যসাচীকেও। দাবি, ঐন্দ্রিলার প্রেমিকের ভূমিকাও অত্যন্ত প্রসংশনীয়। প্রেমিকার পাশে থেকে লড়াই চলিয়ে গিয়েছে প্রতিনিয়ত। অনীক একেই ‘সত্যিকারের ভালবাসা’ বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি অভিনেত্রীর জন্য প্রার্থনাও জানিয়েছেন, ‘কার কাছে জানি না, তাও প্রার্থনা করছি। আমিও এ রকম এক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ওই ছেলেটির মনের অস্থিরতা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি।’
জাতীয় পুরস্কারজয়ী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনিও ঐন্দ্রিলার পাশে। অকপট বক্তব্য তাঁর, ‘ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনদিন, তবু কেন জানি না খুব ভালোবাসি মনে হয় ওকে। ও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।’ বুনো হাঁস ছবির অন্যতম অভিনেত্রীর মতে, ‘আমি জানি চিকিৎসা বিজ্ঞান কাজ করছে। সত্যিই জানি না, প্রার্থনা সত্যিই কাজ করে কিনা। তবে এ বার মন থেকে চাইছি, চিকিৎসা বিজ্ঞান আর প্রার্থনা--হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুক। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো ঐন্দ্রিলা।’ একা ঐন্দ্রিলা নয়, সব্যসাচীকেও এমন দুর্দিনে মনের জোর না হারানোর বার্তা দিয়েছেন দেবলীনা দত্ত। তাঁর জবানিতে, ‘যখনই কেউ তোমাদের আস্থা জুগিয়েছে, তোমরা তাদের কাছে ঋণী হয়ে থেকেছ। আমি তোমাদের দু’জনের কাছেই ঋণী। তোমরা দু’জনেই বিজয়ী! আপাতত দুই চ্যাম্পিয়নের জিতে ঘরে ফেরার অপেক্ষায়।’
এমন জীবন-মৃত্যুর টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ধারাবাহিক ‘পিলু’র নায়ক ‘আহির’ গৌরব রায়চৌধুরীও। তাঁর হাতের হাড়ে বড় টিউমার ধরা পড়েছিল। বিরাট অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে ফেরেন অভিনেতা। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবর তাঁকে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়িয়ে দিয়েছে। সেই সময় ঐন্দ্রিলা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি স্মরণ করে গৌরব লিখেছেন, ‘আমি যখন শয্যাশায়ী হাসপাতালে, সার্জারি হওয়ার পরের দিন অনেক কষ্টে উঠে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলাম... হঠাৎ দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে।’ অভিনেতার সঙ্গে আলাপ ছিল না। গৌরবের অসুস্থতার খবর পেয়ে নিজেই দেখতে চলে এসেছিল। সেদিন থেকেই বন্ধুত্বের শুরু। সে দিন থেকেই ঐন্দ্রিলার প্রতি মায়া পড়ে গিয়েছিল অভিনেতার। আজ ঐন্দ্রিলা শয্যাশায়ী। গৌরবের তাই প্রার্থনা, ঈশ্বর যেন আর নিষ্ঠুর না হন। ঐন্দ্রিলাকে সাহস দিয়ে বলেছেন, ‘তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ। আমরা সবাই তোমার পাশে।’ একই ভাবে ঐন্দ্রিলাকে সাহস জুগিয়েছেন মানসী, রাহুল, অলিভিয়া প্রমুখ। সবার কাতর আর্তি, 'এ ভাবে শুয়ে থাকতে নেই। এ বার উঠে পড়। জিতে ফের। আমরা সবাই তোর পাশে।'