সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর জন্মদিন ছিল। সব্যসাচীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন ঐন্দ্রিলা। ওই পোস্টেই প্রেমিককে আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানান।

ক্যান্সারের পরে  মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ! ফের জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি ঐন্দ্রিলা শর্মা। টেলিপাড়া সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর জন্মদিন ছিল। ওই দিন রাতেই আচমকা ব্রেন স্ট্রোক ঐন্দ্রিলার। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। সম্ভবত কোমায় চলে গিয়েছেন তিনি। শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছেন। নায়িকার দুটো চোখে কেবল জীবনের সাড়া। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাজ করেছেন সিরিজের একেন বাবু অনির্বাণ চক্রবর্তী। এশিয়ানেট নিউজ যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অভিনেতার কথায়, '‘আমি দুপুরে খবরটা পাই। এখনও সবিস্তার জানতে পারিনি। তবে ভীষণ খারাপ লাগছে।’' অনির্বাণের মতে, ক্যান্সারের সঙ্গে দু'বার ঐন্দ্রিলার লড়াই উদাহরণযোগ্য। বারেবারে মেয়েটার সঙ্গে এ রকম হচ্ছে। তিনি আন্তরিক ভাবে চাইছেন, এ বারেও জিতে ফিরুন ঐন্দ্রিলা।

 

মঙ্গলবার সন্ধের ঘটনা। সব্যসাচীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন ঐন্দ্রিলা। ওই পোস্টেই প্রেমিককে আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানান। অনুরাগীরা সেই পোস্ট ভালবাসায় ভরিয়ে দেন। তখনও কেউ টের পাননি, কত বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে তাঁদের জন্য। এ দিকে খবর ছড়াতেই টেলিপাড়ায় নেমে এসেছে বিষণ্ণতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতার কথায়, '‘বারেবারে কেন ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই এমনটা ঘটছে? ও খুব ভাল বলেই কি! মেনে নিতে পারছি না। কিচ্ছু ভাল লাগছে না। শ্যুটিং থেকে মন উঠে গিয়েছে। আন্তরিক প্রার্থনা, ঐন্দ্রিলা আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠুক।’'  ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেই ঐন্দ্রিলা সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছিলেন, আবার অভিনয়ে ফিরবেন। সেই অনুযায়ী জি বাংলার অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’-তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘ভাগাড়’ সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। এই সিরিজে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী। এ ছাড়া, একাধিক বার অংশ নেন ‘দিদি নম্বর ১’ -এ, “রান্নাঘর”-এ। এ বছরের মহালয়ায়  কালার্স বাংলার ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’য় দুর্গার একটি রূপ সেজেছিলেন ঐন্দ্রিলা। পাশাপাশি পুজোর জন্য ফটোশ্যুটও করেছেন চুটিয়ে।

 

পুজোর আগেই অভিনেতা সৌরভ দাস এবং সব্যসাচী চৌধুরী মিলে সল্টলেকে হোঁদল রেস্তোরাঁ খোলেন। সেখানেও নিজের উৎসাহেই যুক্ত ছিলেন ঐন্দ্রিলা।  সব কিছু যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছিল তখনই এই অঘটন। ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী।  এশিয়া নেট নিউজ বাংলা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। অভিনেতার তরফ থেকে সাড়া মেলেনি।  এ দিকে চলতি মাসেই দিল্লি এবং শ্যুটিং উপলক্ষে গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। সবই আপাতত বিশ বাঁও জলে।