সংক্ষিপ্ত
বললেন, এ বছর যদি দশমীর আগে সুবিচার না পাওয়া যায়, তা হলে আমি আর মা-কে বরণ করব না। এ বার আমি কারও জন্য কোনও কেনাকাটা করব না। এমনকি, ছোটদের জন্যও কেনাকাটা করব না। বাচ্চাদেরও বোঝা উচিত উৎসব না হওয়ার অর্থটা।
সোমবার দুপুরের পরে তিনি আশাহত বলে জানান অপরাজিতা আঢ্য। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর এমনই মন্তব্য করেন নায়িকা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, আজ খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভেবেছিলাম আজ ইতিবাচক কিছু দেখতে পাব। আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কেমন লাগছে, তা আমি ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি। মেয়েটির ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি পুজো, উৎসব, আনন্দ এগুলো কিছুই ভাবতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরই নবমী পর্যন্ত তিনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাঁর পুজোর আনন্দ সবটাই বিজয় দশমীর দিনে। ওই দিন পরিবার ও পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে দুর্গা প্রতিমা বরণ করেছি। তিনি বলেন, পুজো, উৎসব এবার ভাবতে পারছি না। তবে কাজ করব। কাজ না করলে তো আমার সংসার চলবে না। তৃতীয়া থেকে নবমী পর্যন্ত আমি কাজই করি। দশমীর দিনটা বরণ করি, নাচতে নাচতে বিসর্জন যাই। তবে, এ বছর যদি দশমীর আগে সুবিচার না পাওয়া যায়, তা হলে আমি আর মা-কে বরণ করব না। এ বার আমি কারও জন্য কোনও কেনাকাটা করব না। এমনকি, ছোটদের জন্যও কেনাকাটা করব না। বাচ্চাদেরও বোঝা উচিত উৎসব না হওয়ার অর্থটা।
এভাবে প্রতিবাদ করার কথা জানান অপরাজিতা। আজকের শুনানি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। বর্তমানে প্রায় সকল তারকাই প্রতিবাদ করে চলেছেন। এবার প্রতিবাদের সুর শোনা গেল অপরাজিতার গলায়।