সংক্ষিপ্ত
বললেন, একটু নিতে নামলাম। এই পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেকমুহূর্তে ভয়। ভূতের ভয়। অদ্ভুতের..।
নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে। এখনও চলছে প্রতিবাদ। অনেক জায়গায় হচ্ছে মিছিল। হচ্ছে ধর্না কিংবা অভিযান। এবার এই রাজ্যের নানান বিষয় নিয়ে একটু অন্যভাবে প্রতিবাদ করলেন মীরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কমেডিয়ান অপূর্ব রায়। একটি ভিডিও পোস্ট করে একাধিক বিষয় সরব হয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে উঁচু জায়গায় বসে অপূর্ব। সে বলছে, একটু নিতে নামলাম। এই পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেকমুহূর্তে ভয়। ভূতের ভয়। অদ্ভুতের..। কাটমানি, ছাটমানি, পাটমানি সব কিছু কেটেছটে এলাকার কালো পিচ পড়ল। এক বর্ষায় সেই পিচ ছুয়ে কালীঘাটেক দিকে বয়ে গেল। রাস্তার হাল এখন সন্দীপ ঘোষের মনের থেকেও খারাপ। সেই রাস্তা দিয়ে স্কুল পড়ুয়ারা সাইকেল চালিয়ে ঠিক করে যেতেও পারে না। হাঁটুর ব্যথা, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠরা রাস্তা পার হয়। এই বিষয় নিয়ে আমি প্রতিবাদ করি না। যদি রাত্রিবেলা দিদিকে লোকেরা ঢুকে যায়। রাস্তায় হিজড়ে মাসি ধরলে টাকা চায়, টাকা না দিলে অভিষাপ দেয়। আমি এই বিষয়ে প্রতিবাদ করিনা, ভয়ে। যদি অভিষাপের মাত্রা বেড়ে যায়। সাউথে পুলিশ ট্রাফিক সামলায় কম, ছোটহাতি, লরি ধরে বেশি। দেশাত্মবোধক ড্রেস পরা সিভিকরা নিজেকে ভাবে মেসি। এই চল চল, আগে, ফট…। আমি এবিষয়ে প্রতিবাদ করি না, ভয়ে। যদি রাত্রিবেলা সিভিক পুলিশ ঘরে ঢুকে যায়।
এরপরই অপূর্বর প্রশ্ন, হাসি পেল? এই ভয়ের জন্য অনেক মানুষ, নিজের স্বপ্ন, সখ, আল্লাদ, সম্পর্ক, ত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হয়েছে। সবকিছু জেনে ভয় পাইনি বলে ডক্টর ম্যাডামকে নৃশংসভাবে এই পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। আর ভয় পেয়েছে বলে নির্লজ্জশ্রী আমাদের ট্যাক্সের টাকায় ২১টা আইনজীবী পুষছে। তাই তো প্রত্যেকদিন জনতা ফুঁসছে। এই ভয়ের জন্য অনেকে স্ব-ইচ্ছায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে। ছোট সাজেশন, ভয় বাইরে নেই, আপনার অন্তরে আছে। যে ভয় দেখাচ্ছে, সে ভয় পেয়ে আছে। তাই আপনিও দেখান ভয়। যে বিষয়টার জন্য আপনি ভয় পাচ্ছেন, সেবিষয়টা আপনার গুরুত্বছাড়া মূল্যহীন। তাই ভয়কে নয়, নিজেকে সময় দিন। সময়ের হাত ধরে ভয় তিহার জেলে বন্দি হয় যাবে। ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস। জয় হিন্দ।