সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের অভিনেতা শান্ত ও তাঁর বাবাকে গণপিটুনি দিয়ে খুন! মর্মাহত টলিউডের রজতাভ, কৌশানী ও রাজ, কী বললেন তাঁরা?
উত্তাল বাংলাদেশ। মারা গিয়েছেন প্রায় ৩০০-জনেরও বেশি মানুষ। প্রাণ গিয়েছেন এক বাংলাদেশী অভিনেতা এবং প্রযোজক শান্ত খান। এপার বাংলার বহু মানুষের সঙ্গেই কাজ করেছেন শান্ত। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি।
শাপলা এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের কর্নধারও ছিলেন শান্ত-র বাবা সেলিম খান। তিনিও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বাংলার বেশ কয়েকজন অভিনেতা।
অভিনেতা রজতাভ দত্ত জানিয়েছেন, " খবরটি শুনে তো আমার মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। সে এবং তার বাবা দুজনেই যে নির্মমভাবে মারা গিয়েছেন, তাদের হৃদয় ব্যথিত। দুজনের মৃত্যুর আসল কারণ কি আমরা হয়তো ঠিক করে জানিনা, কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশে কি ঘটে চলেছে সেটাও আমাদের কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। আমরা যারা শিল্পী, তারা সব সময় শান্তির জন্য আহ্বান জানাই। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত।"
এই নিয়ে কথা বলেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও। শান্ত-র সঙ্গে একটি ছবিতে কাজও করেছেন এই অভিনেত্রী। ছবির নাম ছিল 'পিয়া রে'।
কৌশানী জানিয়েছেন, "সোমবার রাতেই ভয়ংকর দুঃসংবাদে মনটা ছারখার। তখন থেকেই যেন মেনে নিতে পারছি না। যে চূড়ান্ত আতিথেয়তা আমি পেয়েছিলাম তা ভোলার নয়। চাঁদপুর এবং ঢাকায় শুটিং চলাকালীন, এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি যে অন্য জায়গায় আছি। আমি যেহেতু এই ইন্ডাস্ট্রিতে একটু সিনিয়র সেই কারণে আমার প্রতি যথেষ্ট সম্মান বজায় রেখেছিল। এও বলেছিল, ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু ইমপ্যাক্ট বজায় রাখার চেষ্টা করছে সে।"
এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও। তিনি জানিয়েছেন, "কোনও মৃত্যুই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সে প্রতিবাদী ছাত্র হোক, কিংবা পুলিশ কিংবা কোন প্রযোজক অথবা রাজনীতিবিদ, এই মৃত্যুগুলো ভয়ংকর। আমাদের সকলের বাংলাদেশে কাজ করার এক সুন্দর অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে।"
প্রসঙ্গত, শান্ত ও তাঁর বাবার সঙ্গে রাজনীতির গভীর যোগ ছিল জানা যায় বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে। এর আগেও বহু কেসে নাম উঠে এসেছে তাঁদের বলে জানা যায়।