সংক্ষিপ্ত

ইডির দফতর থেকে বেরোতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বনি। আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছরে খেটে আমি পরিশ্রম করে এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো বলতেই ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হন বনি।

টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে এই মুহূর্তে জোর জল্পনা চলছে। আপতত টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই তা শোনা যাচ্ছে। বনিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘাঁটতেই টলি অভিনেতা বনির নাম উঠে এসেছে। কুন্তলের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফের অভিনেতাকে তলব করে ২ ঘন্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগেও তাকে একটানা ৮ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল।

২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে বনির পরিচয় হয়। কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন বনি। এবং কুন্তলও তাই দাবি করেছেন। বনি জানিয়েছেন,কুন্তলের প্রযোজনায় অভিনয়ের জন্য নগদ কোনও টাকা না নিলেও পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনতে কুন্তল ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিল। সেই সূত্রেই টাকার লেনদেন হয়। যার বিনিময়ে কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠান করে দিয়েছেন বনি। এবং কুন্তলের একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হাজিরার পারিশ্রমিক হিসেবেই সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেন বনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অভিনেতা। বনি যেই গাড়ি কিনেছিলেন তার সমস্ত নথি ইডি-র দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। দিনকয়েক আগেই দু-দফায় বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তখনই জানা গিয়েছিল কুন্তলের সঙ্গে তার যোগাযোগের কাহিনি। তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, কুন্তল যে টাকা দিয়ে বনিকে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, অভিনেতা নাকি তা ইডি-কে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আদৌ কি কুন্তলের টাকা ফেরত দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা সাফ জানান, কুন্তলের টাকা তিনি ফেরত দিচ্ছেন না, বরং তিনি দাবি করেন, ওই টাকা আমার, অন্যের নয়। আশা করি আমাকে আর ডেকে পাঠাবে না ইডি।

 

 

ইডির দফতর থেকে বেরোতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। সেখানেই বনি বলেন, আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছরে খেটে আমি পরিশ্রম করে এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। আর নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো বলতেই ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হন নায়ক। তারপর থেকেই চলছে সমালোচনা। নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন তবে কি ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে কুন্তল তাকে দিয়েছিলেন, নাকি একটি ছবির জন্য ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন বনি সেনগুপ্ত, উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। সকলের মুখে মুখেই এখন একটাই প্রশ্ন ২০১৪ সাল থেকে কেরিয়ার শুরু করেছেন বনি, কটা ছবিই করেছেন আর কটাই বা বক্স অফিস হিট, তা নিয়ে কীভাবে এত বিলাসবহুল জীবন কাটান অভিনেতা, চলছে জল্পনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাকে নিয়ে ট্রোল হলেও তাতে তিনি দমে যাননি বরং নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন-সহজভাবে নাও। কিন্তু সকলের উদ্দেশ্যে গোটা বিষয়টা সহজভাবে নিতে বললেও তার ভক্তরা কি সেটা মেনে নিতে পারছে। তা মনে হয় না। আসলে তাকে নিয়ে কটাক্ষ হামেশাই চলছে নেটদুনিয়ায়। একজন বনিকে বিদ্রুপ করে লেখেন-'শিক্ষা -দুর্নীতির টাকা দিয়ে সবাই বিলাসিতা করতে পারে, দয়া করে একটু খেটে খাও ভাই'। অনেকেই মানতে চাইছেন না, বনির মতো অভিনেতার ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি থাকা সম্ভব। কেউ আবার ব্যাঙ্গাত্মক সুরে লিখেছেন, বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াবে ইডি।