সংক্ষিপ্ত
একমাত্র ছেলে রৌনককে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা রচনার। কীভাবে ছেলেকে সামলাবেন তার টিপস চাইলেন দিদি।
'দিদি নম্বর ওয়ান' -মানেই একরাশ মন ভাল করা আড্ডা, অদম্য লড়াইয়ের কাহানি, হার না মানার ইচ্ছা, মজার খেলা , গিফট আরও কত কী। সকলের মনের কথা, কষ্ট প্রতিদিন শোনোন টলিউড অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিদির মনের কথা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। ছেলেমেয়দের নিয়ে সবর্দাই মায়েদের চিন্তা থাকে। তবে বয়ঃসন্ধিকালে তা যেন একটু বেশি বেড়ে যায়। ছেলে কিংবা মেয়ে কৈশোর থেকে যৌবনে পা রাখলেই তাদের মধ্যে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যেখানে মা ও বাবা খানিকটা দূরে থাকে। আর যারা সিঙ্গল প্যারেন্ট তাদের অবস্থা আরও বেশি শোচনীয়।
জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর পর থেকে টলিউড অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিদি নম্বর ওয়ান' হিসেবেই সকলের কাছে বেশি পরিচিত। বিতর্ক থেকে শত যোজন দূরে থাকতেই পছন্দ করেন রচনা ব্যানার্জি। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে অনুরাগীরা। একমাত্র ছেলে রৌনককে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা রচনার। কীভাবে ছেলেকে সামলাবেন তার টিপস চাইলেন দিদি।
'দিদি নম্বর ওয়ান'-এ সানডে স্পেশ্যাল এপিসোড চারজন নায়ক ও তার মায়েরা খেলতে আসেন। টলিপাড়ার উঠতি অভিনেতা অভিষেক শর্মা, সোহেল দত্ত, সায়ক চক্রবর্তী, সায়ন্ত মোদক মায়েদের নিয়ে হাজির হন দিদির মঞ্চে। সেখানেই ছেলে- মেয়েদের আচরণ পাল্টে যাওয়া নিয়ে কথা হয়। তখনই রচনা বলে ফেলেন কৈশোরে পা দেওয়ার পর রৌনকও মায়ের থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছেন। ছেলেকে কীভাবে সামলানো যায় সেই প্রশ্নই সোহেলের মায়ের কাছে বলেন অভিনেত্রী। রচনা বলেন, রৌনক এখন কিছুতেই আমার সঙ্গে শুতে চায় না, আমিই জোর করে ওকে কান ধরে আমার সঙ্গে ঘুম পাড়াই। তখনই সোহেল বলে ওঠে, তার মানেই ওর মনে ফুল ফুটেছে। সায়ন্তর মা বলেন, আজকাল ফোনের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি। ছেলে প্রেম করছে এই প্রশ্ন শুনেই ঢগঢগ করে জল খেতে শুরু করেন রচনা । ছেলে মাত্র দশম শ্রেণীতে পড়ে এখনই প্রেম এই বলেই রচনা বলেন, এই রৌনক আজ রাতে তোর কাছে আসছি, তোর ফোন চেক করতে। যদি পুরো বিষয়টাই মজার ছলে হয়েছে। তবে মা হিসেবে যথেষ্ঠ কড়া রচনা। শাসনের মধ্যেই ছেলেকে রেখেছে। বিশেষত রৌনকের পড়ার জন্য অভিনয় থেকে সরে এসেছেন। আপাতত ছেলের সঙ্গে ছুটি কাটাতে কাতার খেলা দেখতে গেছেন রচনা। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রচনা।