সংক্ষিপ্ত
শোনা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ছবি থেকে বাদ পড়েছেন বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবির নাম তরী। শ্যুটিং শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু, দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরুর আগেই বাধা ঘটে। বাদ পড়েন নায়িকা। এবার প্রকাশ্যে এল আসল তথ্য। কেন তরী ছবি থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাদ পড়েন তা জানা গিয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলের নেতা কর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। যাদের একজন সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ছিলেন ফেরদৌস আহমেদ। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সরকার পতনের পর ফেরদৌস আহমেদ। সে কারণেই বাংলাদেশের ছবি থেকে বাদ পড়েন তিনি। যা ছবির পরিচালকই জানান। এই জায়গায় নেওয়া হয় শ্রীলেখাকে।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীলেখা বললেন, আমি জানতাম না ঋতুপর্ণা বিষয়টা। ওরা আমার সঙ্গে সিনেমার ব্যাপারে সেপ্টেম্বরের আগে যোগাযোগ করে। তখন কিছু ইস্যু হয়ে যাওয়ায়, আমার আর কাজটা করা হয়নি। পরে গল্পটা শুনে ভালো লেগেছিল। তারপর ওরা আমার সঙ্গে আলোচনা করল, কীভাবে কাজটা কি করা যায়। এভাবেই সম্পর্কটা তৈরি হল।
শ্রীলেখা ফেরদৌস বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ তেমনই শুনলাম। সরকার পড়ে যাওয়ার পর ঋতুপর্ণার বাড়িতে নাকি ছিল ফেরদৌস। যাই হোক, ওখানে তো একটা রেভেলওশন হয়েছে। ওখানকার মানুষদের চাহিদার কথা তো মাথায় রাখতেই হবে। তিনটি মেয়ের গল্প এই ছবিটা। ওই দেশের নায়িকার রয়েছেন। খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়।
এদিকে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে সমস্যা অব্যাহত। ভারত সরকার, ভিসা বন্ধ করেছে। সেখানে কী করে শ্যুটিং-এ যাবেন তিনি?
নির্মাতা রাশিদ পলাশ জানান, ঋতুপর্ণাকে বাদ দেয়া দেশের সংস্কারের অংশ। অভিনেত্রীর সঙ্গে চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই অভিনেত্রীকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।