Deep Fridge: বাংলা সিনেমার ঝুলিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কোন সিনেমা জিতে নিলো সেরার সেরা তকমা? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Deep Fridge National Film Award: জাতীয় পুরস্কার (National Award) মঞ্চে ফের একবার বাংলার জয়জয়কার। পরিচালক অর্জুন দত্ত পরিচালিত আবীর চট্রোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী অভিনীত বাংলা ছবি 'ডিপ ফ্রিজ' (Deep Fridge) জিতে নিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই খবরে খুশির হাওয়া বাংলা চলচ্চিত্র জগতে।
অর্জুন দত্ত পরিচালিত 'ডিপ ফ্রিজ' ছবিটি তার ব্যতিক্রমী গল্প বলার ঢঙ এবং শক্তিশালী চিত্রনাট্যের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এবার সেই ছবির মুকুটে যুক্ত হলো জাতীয় সম্মানের পালক। এই জয় শুধু অর্জুন দত্তের নয়, বরং সমগ্র বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক বিরাট পাওনা। 'ডিপ ফ্রিজ'-এর এই জাতীয় পুরস্কার জয় বাংলা ছবির এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল।
২০১৮ সালে 'অব্যক্ত' ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অর্জুন দত্তের প্রথম সিনে জগতে পা। প্রথম ছবিতেই তার সংবেদনশীল পরিচালনার ভঙ্গি দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে তার পরিচালিত ছবি 'ডিপ ফ্রিজ' আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, গোয়ায় প্রদর্শিত হয়। এবং সেখানেও তার পরিচালনার মুন্সিয়ানার জন্য ছবিটি ভূয়সী প্রশংসা লাভ করে। অর্জুন দত্তের ছবিতে জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতি এবং সম্পর্কের জটিল দিকগুলো যেভাবে উঠে আসে, তা বাংলা সিনেমার জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জাতীয় পুরস্কার জেতার পর পরিচালক অর্জুন দত্ত তার ছবি 'ডিপ ফ্রিজ' প্রসঙ্গে বলেন, "এটি বর্তমান সময়ের সম্পর্কের এক প্রাসঙ্গিক গল্প, যা আমাদের সকলের সঙ্গে মিলে যাবে।" তিনি আরও বলেন যে, সমাজে এমন অনেক দম্পতি আছেন যারা তাদের বিবাহিত জীবনে সুখী নন এবং বহু বছর একসঙ্গে থাকার পরেও তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু সমাজ কিংবা দম্পতিরা নিজেরাই এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাগ্রস্ত। অর্জুন মনে করেন, "অসুখী দাম্পত্যে আবদ্ধ থাকার চেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো।"
তবে এর সঙ্গে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তুলেছেন, "বিচ্ছেদের পর কি আমরা আমাদের প্রথম প্রেমকে পুরোপুরি ভুলে যেতে পারি, নাকি সেই ভালোবাসার শিখা কোথাও না কোথাও জ্বলতেই থাকে?" তুলে ধরেছেন সম্পর্কের জটিল দিকগুলিও।
ডিভোর্স এবং বিচ্ছেদ এখন যেন এক স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিনের শিরোনামেই উঠে আসছে তারকা দম্পতিদের বিচ্ছেদের খবর। এমন সময়ে দত্তের ভাবনা যেন এক ব্যতিক্রমী সুর। তিনি মনোযোগ দিয়েছেন সেই ভালোবাসার ক্ষীণ সুতোটির ওপর, যা একদিন দুটি মানুষকে কাছাকাছি এনেছিল। এই লেখার মাধ্যমে তিনি সম্পর্ক ভাঙনের এই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে প্রেমের চিরন্তন আবেদনকে তুলে ধরেছেন।
পরিচালক দত্ত জানান, “যখন আমি গল্পটি লেখার কথা ভাবি, তখন আমি ব্যক্তিগতভাবে জীবনের একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার চারপাশে অনেক দম্পতিকে দেখেছি, যারা নিজেদের পথ আলাদা করে নিচ্ছেন। এই সব অভিজ্ঞতা থেকেই আমার এই গল্পটি লেখা। আমার অন্য সব গল্পের মতোই এটি একটি মানবিক গল্প, কিন্তু এটিই আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ সম্পর্কের গল্প।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


