সংক্ষিপ্ত
বলেন, এত বছরে রাস্তায় নেমে আমার সারা শরীরে ধুলো জমে গিয়েছে। এখন বয়স হয়েছে। তা ছাড়া আমি কোনও রাজনীতিও করি না।
১৪ অগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতার লাইন লেখেন নচিকেতা। তিনি লেখেন, ‘মা তুমি এসো না’। সেই কবিতা ছড়িয়ে পড়তেই ট্রোলিং-র শিকার হতে হয় তাঁকে। এই নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক। লিখলেন, প্রথম প্রতিবাদ তো আমিই করেছিলাম। কিন্তু, এখন দেখছি কারও পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ না করলে ট্রোলিং শুরু হবে। তাঁর মতে প্রতিবাদ কীভাবে করা হবে তা নির্ভর করে নিজের ওপর। সেখানে আমাকে শুনতে হচ্ছে, আমি কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি না। বাঙালির এই চেহারা আমার দেখা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এত বছরে রাস্তায় নেমে আমার সারা শরীরে ধুলো জমে গিয়েছে। এখন বয়স হয়েছে। তা ছাড়া আমি কোনও রাজনীতিও করি না। তিনি ট্রোলারদের এই আচরণ নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ৩১ বছর যে বাঙালির জন্য নিজেকে সঁপে দিলামস সেই বাঙালিই আজ আমাকে ট্রোল করেছে। আমি সত্যিই দুঃখ পেয়েছি।… নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের আমরা দেখেছি। বাংলা বনধ পুরো বিষয়টার মধ্যেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। চিরকালই দেখেছি, এই ধরনের সামাজিক প্রতিবাদের ক্ষেত্রে এক সময় নজর সরে যায়। সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
এই ঘটনার কারণে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন দেরি হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাঁদের সর্বস্ব দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত বিষয়টার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। এভাবে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন নচিকেতা।