সংক্ষিপ্ত
সিধু বলেন, যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই যদি ভাঙচুর চালানো হয় এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে, তা হলে তা ভয়াবহ তো বটেই।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় লড়াই করছেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। গতকালই ছিল মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এই দিন সুপ্রিম কোর্টে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিশেষ মন্তব্য করলেন সঙ্গীতশিল্পী সিধু।
আরজি কর কান্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিধু। এক সময় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন তিনি। বর্তমানে সঙ্গীত জগতের বেশ পরিচিত মুখ তিনি। সদ্য আরজি কর কান্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করলেন সিধু।
সদ্য এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেন, কর্মবিরতি তুলে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে ইমার্জেন্সি ও আউটডোর বিভাগে কাজ শুরু করা উচিত এবার চিকিৎসকদের। অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে আসেন এখানে।
তিনি বলেন, আরজি করে কী অবস্থা তাঁর জানা নেই। সে কারণে সেখানে প্রয়োজনে সেখানে রোগী ভর্তি বন্ধ করার কথা বলেন তিনি। সঙ্গে অন্য হাসপাতালে রোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করার কথাও বলেন গায়ক। তিনি আরও বলেছেন, আরজি কর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুবই স্বাভাবিক। ১৪ অগস্ট যেভাবে ভাঙচুর হয় এবং পুলিশ অপদার্থের মতো নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করল। এই ঘটনায় পুনরাবৃত্তি যে হবে না, তার তো কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুব স্বাভাবিক। শুধু হাসপাতালেই নয়। যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই যদি ভাঙচুর চালানো হয় এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে, তা হলে তা ভয়াবহ তো বটেই।
তিনি আরও বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জবাব পুলিশমন্ত্রীর দেওয়া উচিত। তিনি এখনও কিছু বলেননি। পুলিশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানান সিধু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।