সংক্ষিপ্ত
'টুম্পা সোনা' গানটা ২ বছর পেরিয়ে গেলে আজও সুপারহিটের তকমা ধরে রেখেছে। ১৮৮ মিলিয়ন পার করেছেন এই বিখ্যাত গান।জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নয়া কন্ট্রোভার্সিতে নাম জড়াল 'টুম্পা সোনা'র।
পুজো হোক বা জন্মদিন, আবার বিয়ে হোক কিংবা অন্নপ্রাশন 'টুম্পা' ঝড়ে কেঁপেছিল গোটা বাংলা। এমন একটি আইটেম নাম্বার যা নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না দিন-রাত। তবু 'টুম্পা সোনা' আজও হিট। গানের সুর থেকে কথা কোনওটা নিয়ে কথা কম হয়নি। বলতে গেলে এই সেই বিখ্যাত গান যেখানে ভাষা নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছিল। তবে বিতর্কের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই গানের তালে পা মেলায়নি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো হাতে গোনা। নেটদুনিয়ায় হট ভাইরাল এই গান এখনও যে কতটা হিট তার প্রমাণ দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
'টুম্পা সোনা' গানটা ২ বছর পেরিয়ে গেলে আজও সুপারহিটের তকমা ধরে রেখেছে। ১৮৮ মিলিয়ন পার করেছেন এই বিখ্যাত গান। আজও ভাসানের ব্যাকগ্রাউন্জে অনবরত বেজে চলেছে 'টুম্পা সোনা'। তবে এই জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নয়া কন্ট্রোভার্সিতে নাম জড়াল 'টুম্পা সোনা'র। সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে লেখা, 'টুম্পার ভিউ এখন ১৮৮ মিলিয়ন। যার থেকে আসা একটা টাকাও আমি পাইনি। আমি ভিডিও করার খরচা জোগাড় করেছি, গানটাও আমার তৈরি করা। আমি এটার প্রোডিউসার ছিলাম তারপরেও এই অবস্থা। আমাকে জাস্ট ভয় দেখিয়ে সবকিছু নিয়ে নিয়েছে নাহলে হয়তো এটাই শেষ গান হয়ে থেকে যেত। টাকার থেকে জীবনের দাম বেশি, তাই ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। অনেক লোকেই জানে ব্যাপারটা কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি, আমার জন্য। সবাই আনন্দ করেছে, নেচেছে, ভিডিয়ো বানিয়েছে, সব করেছে কিন্তু আমার নিজের ইনকাম করা টাকা আমি পাইনি।' এই পোস্টটি করেছেন অভিষেক সাহা, যিনি এই বিখ্যাত 'টুম্পা সোনা'গানটির কম্পোজার, অ্যারেঞ্জার এবং প্রোগ্রামার। এই পোস্ট ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
তারপরই প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি বলেন, প্রথমত এই গানটির প্রোডিউসার আমি ছিলাম। অরিজিৎ নয়। সমস্ত পেমেন্ট আমিই করেছি। ভিডিও বানানোর টাকাও আমিই জোগাড় করি। তারপর যখন প্রোডিউসারের জায়গায় ওর নাম দেখি তখন মিউজিক লেবেল কোম্পানিত ফোন করে বলি কেন প্রোডিউসারের জায়গায় অরিজিতের নাম রয়েছে। তারা আমাকে বলে অরিজিতের সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে। সেইমতো কথা বলি, অরিজিৎ আমায় বলে,আমি তোমার নামে গানটি ট্রান্সফার করে দেব সই করে। এবং ওর বাঘাযতীনের বাড়িতে ডাকে। তবে ওর বাড়িতে যাওয়ার আগে দুজন লোক হঠাৎ করে আমায় এসে ধরে যাদের কোমড়ে বন্দুক ছিল। আর আমি তখনই বুঝে গেলাম যে আমাকে সই করতে হবে, অরিজিতকে নয়। তারপর আর কিছু করার ছিল না। গান হিট হওয়ার পরও কোনও টাকা আমি হাতে পাইনি। পুলিশে কেন অভিযোগ করেননি?এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলে সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম। আজ আর পাই না তাই ফেসবুকে জানিয়েছি। অন্যদিকে অরিজিৎ প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি নিজে একা ছবি বানাই। আমি বন্দুক কীভাবে রাখব। ও মিথ্যা কথা বলছে। আমার এনওসি আমার কাছে আছে। চুক্তিও আছে। আমিই 'টুম্পা সোনা' গানটার প্রোডিউসার। অভিষেক কোনও টাকাই দেয়নি। এসব করছে ও অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য। এর আগেও একবার ফেসবুক লাইভে এসেছিল। সেখানেই আজেবাজে কথা বলেছে। তবে নতুন করে 'টুম্পা সোনা' গানটা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা যে এত তাড়াতাড়ি থামছে না তা সকলেই বুঝে গেছেন। 'টুম্পা'ঝড় চলছে চলবে।