সংক্ষিপ্ত

ক্যান্সারে আক্রান্ত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রয়াণে সারা বাংলার মানুষ শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী, যাঁরা বাংলা ধারাবাহিক দেখেন না, তাঁরাও দুঃখ পেয়েছিলেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসও খোলার স্বপ্ন ছিল প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ করতে পারেননি। ২০২২-এর নভেম্বরে প্রয়াত হন প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী। তবে তাঁর স্বপ্ন যাতে অধরা না থেকে যায়, সেই উদ্যোগ নিয়েছে পরিবার। নিজের প্রযোজনায় একটি ছবি তৈরির জন্য চিত্রনাট্যও তৈরি করে ফেলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। নিজে প্রযোজনা করার পাশাপাশি অভিনয়ও করতে চেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে এবার প্রোডাকশন হাউস খুলছেন পরিবারের সদস্যরা। এভাবেই তাঁরা ঐন্দ্রিলার স্বপ্নপূরণ করতে চাইছেন। এই অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা, বাবা উত্তম শর্মা, বোন ঐশ্বর্য ও কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রোডাকশন হাউস খুলছেন। এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন ঐন্দ্রিলার বন্ধু ও অভিনেত্রী পারমিতা সেনগুপ্ত। তিনি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে 'জিয়ন কাঠি'-তে ছিলেন।

ঐন্দ্রিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত অভিনেত্রী একটি মিনি ওয়েব সিরিজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। পারমিতা একটি কাহিনির কথা ভেবেছিলেন। ঐন্দ্রিলা সেই কাহিনি নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন। সেটাই এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

অভিনয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ছিলেন ঐন্দ্রিলা। এই স্বপ্ন নিয়েই বহরমপুর থেকে কলকাতায় এসে টলিউডে জায়গা করে নিয়েছিলেন। 'জিয়ন কাঠি' ছাড়াও 'ঝুমুর', 'জীবন জ্যোতি'-র মতো ধারাবাহিক, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে একাধিক কাজ করেন ঐন্দ্রিলা। তিনি ছবিতেও অভিনয় করেন। কিন্তু বেশিদিন স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়বার ক্যান্সারমুক্ত ঘোষিত হওয়ার পরেও মৃত্যু হয় তাঁর। শেষদিকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা পান এই অভিনেত্রী। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই তাঁর জীবন শেষ হয়ে যায়। ব্রেন স্ট্রোকের পর তিনি কোমায় চলে যান। অস্ত্রোপচার করেও তাঁকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ২০ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে সবাই শোকাহত হয়ে পড়েন।

ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেও প্রাণরক্ষা করতে পারেননি। অনেক সাহায্য করেন গায়ক অরিজিৎ সিং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু কারও পক্ষেই কিছু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ঐন্দ্রিলাকে মরণোত্তর সম্মান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ঐন্দ্রিলার বাবা-মায়ের হাতে এই সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঐন্দ্রিলার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। অভিনয়ে ঐন্দ্রিলার অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন-

Mimi Chakraborty: সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললেন মিমি, মুক্তি পেল ‘আমার হিয়ার মাঝে’

Uorfi Javed : চুড়িদার পরে জুহুর মার্কেটে উরফি, দেখুন বন্ধুর সঙ্গে কী কী খেলেন ?

একই বারান্দায় নবনীতা-স্নেহালের ছবি ভাইরাল, জিতুর জন্মদিনে নতুন করে জল্পনা তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে