সংক্ষিপ্ত

আজও নেটদুনিয়ায় ছেয়ে রয়েছেন তিনি। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে। নেটদুনিয়া শোকস্তব্ধ। নেটিজেনরা বলছেন একজন শিল্পীর কখনও মৃত্যু হয় না।

এক এক করে পড়ে গিয়েছে উইকেট। মহীনের ঘোড়াগুলি তবু আজও সমানভাবে জনপ্রিয় বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে। সেই টিমের শেষ ঘোড়া তাপস দাস, সবার কাছে যিনি জনপ্রিয় বাপীদা নামে চলে গেলেন। শেষ সব আশা। সব লড়াই, সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে তিনি। ৬৮ বছর বয়েসী বাপীদা লড়ছিলেন স্টেজ থ্রি ফুসফুসের ক্যান্সারে।

গত ২৫শে ডিসেম্বর বাংলা সংগীতমেলায় দেখা গিয়েছিল নাকে রাইলস টিউব লাগানো অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসেই গান গাইছেন তাপস দাস বাপি। অসুস্থ অবস্থায় তাঁর এই স্পিরিটকে কুর্নিশ জানিয়ে ছিলেন ফ্যানেরা। নেটদুনিয়া ভরে গিয়েছিল সেই ভিডিওতে। আজও নেটদুনিয়ায় ছেয়ে রয়েছেন তিনি। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে। নেটদুনিয়া শোকস্তব্ধ।

নেটিজেনরা বলছেন একজন শিল্পীর কখনও মৃত্যু হয় না। তাঁরা বেঁচে থাকেন তাঁদের শিল্পকলায়, তাদের কাজকর্মে। বাপী দাও বেঁচে থাকবেন তাঁর গানের মাধ্যমে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা ব্যান্ডের জগৎ ও সঙ্গীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বাংলা গানের জগতে একটা যুগের অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন 'মহীনের ঘোড়াগুলি'র শেষ সদস্য বাপিদা ওরফে তাপস দাস।

২৫ জুন, রবিবার সকলের সমস্ত চেষ্টাকে ব্যার্থ করে চলে গেলেন সবা প্রিয় বাপিদা। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হল বাংলা গানের একটা যুগের। প্রসঙ্গত বাপিদার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকারও। সেকথা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই খবর জানান সঙ্গীত শিল্পী রূপম ইসলাম। এর আগেও সঙ্গীত শিল্পীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্তি জানিয়েছিলেন ভক্তরা। শুরু হয়েছিল ফান্ড রেইজও। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেবেন না বলে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাপস বাবু। একমাত্র সরকারের তরফে কোনও সাহায্য মিললে তা গ্রহণ করতে আপত্তি থাকবে তাঁর। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও রাজনৈতিক দল নয়। প্রিয় বাপীদার সঙ্গে কথা বলার পর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই কথা জানান শিল্পী রূপম ইসলাম। তাঁর পোস্ট দেখেই এগিয়ে আসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাঁর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার।

আজও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তিনি বাপীদা। মহীনের ঘোড়াগুলির টিমের শেষ সদস্য। দুরারোগ্য ব্যাধির সামনে অসহায় ৬৮ বছর বয়সী সঙ্গীত শিল্পী। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাপস দাসের শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিনে অবনতির দিকে বলেই জানায়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা দাস। পাশাপাশি আকাশছোঁয়া চিকিৎসার খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবার। তবে সেই টানাপোড়েন শেষ হল রবিবার।