সংক্ষিপ্ত

একই দিনে দুটো বিশ্বমানের ছবি-মুক্তি। ঈশানের মতো প্রসূনও নতুন পরিচালক। শুভেচ্ছা জানাবেন তাঁকে না দ্বন্দ্বের গন্ধ পাচ্ছেন ইশান?

ছেলের প্রথম ছবি। পরিচালক বাবা তাই প্রযোজক! ঈশান ঘোষের প্রথম পরিচালনা ‘ঝিল্লি’ ইতিমধ্যেই ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা ছবির সম্মান পেয়েছে। সেই ছবি-মুক্তি ১১ নভেম্বর। পরিবেশনায় এসভিএফ। একই দিনে মুক্তি পাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিবেদিত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘দোস্তজী’। ছবিটি ইতিমধ্যেই একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নিয়েছে। একই দিনে দুটো বিশ্বমানের ছবি-মুক্তি। ঈশানের মতো প্রসূনও নতুন পরিচালক। শুভেচ্ছা জানাবেন তাঁকে না দ্বন্দ্বের গন্ধ পাচ্ছেন ইশান? এশিয়ানেট নিউজ বাংলা প্রশ্ন রেখেছিল গৌতম-পুত্রের কাছে।

নতুন পরিচালকের দাবি, ‘প্রসূনকে চিনি। ও অনেক স্ট্রাগল করে ছবি বানিয়েছে। তাই কোনও দ্বন্দ্ব বা টক্কর নয়। খুব ভাল লাগছে এক দিনে দুই নতুন পরিচালকের ছবি দেখবেন দর্শক। ওকে আগাম শুভেচ্ছা। আমরা এক স্টুডিয়ো থেকে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ করেছি। ফলে, হিংসের কোনও জায়গাই নেই।’ ‘ঝিল্লি’তে এই প্রথম ধাপার মাঠে গল্পর জায়গা করে নিতে চলেছে। ঈশানের কথায়, ‘শহরের এক পাশে এ রকমও যে একটা জায়গা রয়েছে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। সবাই ধাপার মাঠের নাম জানেন। কিন্তু তার ভিতরের রূপ কেমন কেউ জানে না। আমার ছবি সেই গল্প দেখাবে।’ এই ছবি বানাতে গিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রচণ্ড দোস্তি হয়ে গিয়েছিল নব্য পরিচালকের। এক সঙ্গে থাকা, খাওয়া, ওঠাবসার মাধ্যমে কাজ হয়েছে। ফলে, সেই ঘনিষ্ঠতার ছাপ পড়েছে ছবির প্রতিটি দৃশ্য। ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে উঠে এসেছেন নতুন অভিনেতারা। তালিকায় অরণ্য গুপ্ত, বিতান বিশ্বাস, শম্ভুনাথ দে, সায়নদীপ গুহ, সৌরভ নায়েক প্রমুখ।

 

 

বাংলাদেশের ‘হাওয়া’, অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ মাটির গল্প বলেছে। সঙ্গে টাটকা মুখ। ছবির সাফল্য আকাশছোঁয়া। গৌতমও কি তাই ছেলের ছবির জনপ্রিয়তা নিয়ে আশাবাদী? পোড় খাওয়া পরিচালকের দাবি, ‘‘সব সময়েই নতুন ধারার ছবি বাংলা বিনোদন দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করেছে। ঈশান সিনেমার প্রতি সৎ থেকে এই ছবি বানিয়েছে। যেখানে রক্ত, ঘাম, চোখের জল আর এক বুক স্বপ্নের গল্প আছে। আশা, দর্শকদের খুব খারাপ লাগবে না।’’ এও জানান, বাড়িতে পরিচালক বাবার সুবাদে নানা ধরনের ক্যামেরা রয়েছে। ইশান সেগুলো নিজেই ব্যবহার করে ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ফলে, ছবি তৈরির খরচ অনেকটাোই নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইশানের সুবাদে পরিচালক গৌতম প্রযোজক। বাড়তি কোনও চাপ? ‘পদ্মানদীর মাঝি’র পরিচালকের কথায়, ‘‘ঈশান প্রথম ছবিতেই প্রবল খরচ করেনি। ফলে, এটি ব্যয়সাপেক্ষ নয়। তাই আমার ধারণা, ছবি তৈরির খরচ উঠে আসবে।’’