সংক্ষিপ্ত

জীতুর ডিপি কালো করে দেওয়া কেন? ওই অভিনেতার বক্তব্য, জীতুর কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই খবর পেয়েই নাকি ডিপি কালো করে দিয়েছেন বড় পর্দার ‘সত্যজিৎ রায়’।

ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে করা যাবতীয় পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। গত রাত থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে উধাও জীতু কমলের ফেসবুক ডিপি-র ছবিও। সেখানে এত দিন ধরে তারা মাকে জড়িয়ে রয়েছেন সব্যসাচী— ধারাবাহিক 'মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর এই ছবি জ্বলজ্বল করছিল। এই দুইয়ের চাপে নতুন করে উদ্বিগ্ন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার অনুরাগী মহল। তা হলে কি নতুন করে অবস্থার অবনতি ঘটল? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টলিউডের এক অভিনেতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। তখনই তিনি জানতে পারেন, ভাল নেই অভিনেত্রী। এর পর তাঁর সঙ্গে আর কোনও কথা হয়নি। আর জীতুর ডিপি কালো করে দেওয়া? ওই অভিনেতার বক্তব্য, জীতুর কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই খবর পেয়েই নাকি ডিপি কালো করে দিয়েছেন বড় পর্দার ‘সত্যজিৎ রায়’।

শুক্রবার রাতে সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্ট স্বস্তি দিয়েছিল সবাইকে। তার পরেও প্রশ্ন থিতিয়ে, কতটা অবস্থার উন্নতি হল ঐন্দ্রিলা শর্মার? এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল হাওড়ার, আন্দুলের বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুরোপুরি ভেন্টিলেশন-নির্ভর হয়ে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এখনও নিজে থেকে কোনও কিছুই চলছে না তাঁর। রক্তচাপ ঠিক রাখতে ইন্ট্রোপস এবং অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। গ্লাসগো কোমা সেলের মাত্রা ৫-এরও কম।

 

 

শুক্রবার রাতের পোস্টে সব্যসাচী লেখেন, ‘এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা এক প্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে। এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।’ অভিনেতার এই পোস্টে নিমেষে উজ্জীবিত করেছে তাঁর এবং ঐন্দ্রিলার অসংখ্য অনুরাগীদের। তিনিও যেন হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা তাঁর চোখ খুলে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নীচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি, হার্টরেট এক লাফে ৯১। রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০। শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এল মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি? যেতে দিলে তো যাবে।’ এর পরেই শনিবার ঐন্দ্রিলা সম্পর্কিত যাবতীয় পোস্ট হঠাৎ উধাও! সঙ্গে সঙ্গে নড়ে বসেছেন সবাই। উল্লেখজনক ভাবে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু কোনও রকম আর চর্চা হয়নি!

আরও পড়ুন

ঐন্দ্রিলা শর্মার নতুন করে কোনও হার্ট অ্যাটাক হয়নি, মিথ্যা খবর, সাফ জানাল হাসপাতাল

ঐন্দ্রিলা সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন-নির্ভর, গ্লাসগো কোমা সেলের মাত্রা ৫-এরও কম, জানাল হাসপাতাল

‘বিশ্বাস, ইচ্ছাশক্তি মিললে তবেই অলৌকিক ঘটবে, শুধু প্রার্থনায় নয়’, প্রার্থনা বিতর্কে অকপট অনিন্দ্যপুলক