সংক্ষিপ্ত

২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন যিশু-নীলাঞ্জনা। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বন্ধু শিনাল সুর্তির সঙ্গে যিশুর সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন নীলাঞ্জনা।

২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়তে চলেছে যিশু - নীলাঞ্জনার। বিবাহ বিচ্ছেদ প্রায় অবশ্যম্ভাবী। তাদের দাম্পত্য সমস্যা প্রায় তিন বছর ধরে চলছিল। কিন্তু এখন পাকাপাকি ব্যবস্থা হয়ে গেছে। যিশু সেনগুপ্ত ফিরে গেছেন তাঁর পুরনো গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে। নীলাঞ্জনা রয়েছেন মেয়ে সারা আর জারার সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন নীলাঞ্জনার বোন চন্দনা। যদিও তাদের সঙ্গে যিশুর কথাবার্তা পুরোপুরি বন্ধ।

কিন্তু কেন বিবাহ বিচ্ছেদের পথে গেলেন যিশু নীলাঞ্জনা- যা নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে ঘনিষ্ট মহলে নীলাঞ্জনা বিচ্ছেদের কারণ জানিয়েছেন। তিনি বসেছেন, যে শিনাল সুর্তিকে তিনি বন্ধু হিসেবে মনে করতেন, স্বামী ও মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সেই শিনাল তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রেম করবেন এটা ভাবতেই পারেননি। শিনাল সুর্তিকে বিশ্বাস করাই তাঁর ভুল হয়েছে। বন্ধু মহলে তিনি বলেছে, শিনালের সঙ্গে নিজের স্বামীর প্রেম তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারবেন না। নীলাঞ্জনার পরিচিত মহলের ধারনা, যিশুর দ্বিচারিতায় রীতিমত আঘাত পেয়েছেন নীলাঞ্জনা। আর সেই কারণে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তিনি।

শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি যিশুকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠাবেন নীলাঞ্জনা। যদিও দীর্ঘদিনের বন্ধু সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় ও রুদ্রনীল ঘোষ দাম্পত্য কহল মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি যিশু সেনগুপ্ত।

আগেই নীলাঞ্জনা নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে সরিয়ে দিয়েছেন সেনগুপ্ত পদবী। যা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। নিন্দুকদের মন্তব্য বিয়ে আর ঠিক জায়গায় নেই। যদিও টালিগঞ্জের পাওয়ার কাপেল হিসেবেই পরিচিত যীশু-নীলাঞ্জনা। যীশুর জীবনের আসা চড়াই উতরাইয়ের সাক্ষী তিনি। বিয়ে করে স্বামী আর সন্তান নিয়ে ঘর করার জন্য বলিউডকে টাটা বলেছেন নীলাঞ্জনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সাদা কালো ছবি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'ব্রোকেন বাট বিউটিফুল' তিনি আরও লিখেছেন, 'এই বছরটা অনেক অস্থিরতার মধ্যে কাটল। একের পর এক হারিয়ে ফেলা। একের পর এক ক্ষতি। একের পর এক যুদ্ধ। তবু এই বিশ্ব আমায় নিজের আসল রঙটা চিনিয়ে দিল। আমায় শেখাল, ভাঙা জিনিসও সুন্দর হতে পারে। আমায় দেখাল আমিও ভালবাসা পেতে পারি, আমায় কেউ ঘিরে রাখতে পারে। জ়ারা, সারা, চন্দনা.. তোমরা আমার শক্তির উৎস। তোমাদের ভালবাসি। যাঁরা আমায় মেসেজ করেছেন যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন, খোঁজ নিয়েছেন, তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। এখন আমার একটু সময় দরকার। আমি উদ্বিগ্ন, সবকিছু নতুন করে শুরু করার জন্য সময় চাই। ততদিন অবধি... আমার জন্য দয়া করে প্রার্থনা করবেন।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।