সংক্ষিপ্ত
আমি কোনও সাফাই গাওয়া জন্য বলছি না। মাথা পেতে ভুল স্বীকার করছি।.. ক্ষমার চেয়ে বড় কিছু হয় না। আমি সকলের কাছে হাতজোড় করছি।
গতকাল সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই কাঞ্চন। কারণটা তাঁর বেফাঁস মন্তব্য। কাল কাঞ্চন বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তারা কি সরকারি অনুদান নেবেন না? বোনাস নেবেন না? এমনকী সরকার দ্বারা প্রাপ্য পুরস্কার ফেরত দেবেন? এরপরই সর্বত্র শুরু হয় সমালোচনা। কাঞ্চনের এমন উক্তি শুনে সমালোচনা করেন বহুজন। এবার সেই নিয়ে মুখ খুলনেন কাঞ্চন নিজেই।
সোবার মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে বলেন, গতকাল একটি মন্তব্য করি, যার জন্য সমালোচিত হই। আমি যা বলেছি, তার জন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত। আমি কোনও সাফাই গাওয়া জন্য বলছি না। মাথা পেতে ভুল স্বীকার করছি।.. ক্ষমার চেয়ে বড় কিছু হয় না। আমি সকলের কাছে হাতজোড় করছি।
গতকাল কাঞ্চন বলেছিলেন, মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিছিলের নাম করেছে বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি অশান্তি তৈরি হয়েছে, এগুলোর কোনও দরকার ছিল? নাকি এগুলো করলে দোষীরা শাস্তি পাবে? নবান্ন অভিযান করে কি দোষীর শাস্তি পেল?
এদিক কাঞ্চনের এই কাজে তাঁকে তো বটেই সঙ্গে কথা শুনতে হয়, কাঞ্চন পত্নীকে। অনেকেই তাদের দাম্পত্য নিয়ে কু মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদে কাজল শ্রীময়ী এক বিশেষ পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, আমার প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত, কিছু মানুষের কাজই ছিল বা আছে সমাজমাধ্যমে তাদের মতামত দেওয়া অযাচিত ভাবে।…কারোর বেডরুম নিয়ে কথা বলাল আগে নিজের বেডরুমের দরজার ফুটোটা দেখা উচিত। একজন অভিনেত্রী লিখেছেন যে কিছু মানুষ রগর আর বিয়ে করার জন্য জন্মায়, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলব যে, সে তো তাও সেই মানুষগুলো তো তাও বিয়ে করার জন্য জন্মেছে, আর কিছু মানুষ রয়েছে যারা আজকে হয়তো দল বদল করেছে, একটা সময় শাসকদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, দামী দামী গিফট নেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, প্রেম প্রেম খেলা করা সবই করেছেন শুধু বিয়েটা না... আগে নিজের মেরুদন্ড সোজা রাখুক, তারপর অন্যের মেরুদন্ড দেখবে।