সংক্ষিপ্ত
ক্যাপশনে লেখেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হওয়া এই বিয়ের কোর্সটা আজীবনের। এই দুই ছাত্র-ছাত্রীর কারোরই এই লেখাপড়াটা ছাড়ার ইচ্ছা নেই। এতে পড়ানো হয় বন্ধুত্ব, সমবেদনা, সততা, নম্রতা, সহনশীলতা, আবেগ, ক্ষমা, আদরের মতো আরও অনেক অনেক চ্যাপ্টার।
দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করার পর ১৯৯৩ সালে পরিণতি পায় সেই প্রেম। সাত পাকে বাঁধা পড়েন কৌশিক ও চূর্ণী। ১৬ই জানুয়ারি হয়েছিল বিয়ে। আজ দেখতে দেখতে পার হল এতগুলো বছর। হাজার ঝড় সামলে আজও একসঙ্গে আছেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। আজ বিবাহবার্ষিকীর দিন বিশেষ পোস্ট করলেন পরিচালক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হওয়া এই বিয়ের কোর্সটা আজীবনের। এই দুই ছাত্র-ছাত্রীর কারোরই এই লেখাপড়াটা ছাড়ার ইচ্ছা নেই। এতে পড়ানো হয় বন্ধুত্ব, সমবেদনা, সততা, নম্রতা, সহনশীলতা, আবেগ, ক্ষমা, আদরের মতো আরও অনেক অনেক চ্যাপ্টার। অদ্ভুত এক বই যার কোনও আকার নেই, পেজ নম্বর নেই। একটা পাতা থেকে যেন শয় শয় পাতা খুলে খুলে বের হয়ে আসছে। শুরুতে ৫ বছর ধরে চলেছিল অ্যাডমিশন টেস্ট। তারপর বহু প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের পর আমরা ১৯৯৩ সালে জয়েন করেছিলাম এই ১৬ই জানুয়ারিতে, সন্ধ্যাবেলায় থিয়েটার রোডে চূর্ণীর বাড়ীতে। বেশ সেজেগুজে গিয়েছিলাম, পৌঁছাতে দেখি বাড়ির গেটে লেখা চূর্ণীর বিয়ে। সেই ফুলের গেটটা আমার জীবন বিলকুল বদলে দিল। সত্যি বলেছিল আজ উজানকে নিয়ে যে পৃথিবী ঈশ্বর আমাদের উপহার দিয়েছে তার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
পাশাপাশি আপনাদের ভালোবাসা, আদর, উৎসাহ আমাদের পরিবারকে সমৃদ্ধ করছে প্রতিদিন। তাই আমাদের বিবাহবার্ষিকীতে সবাইকে আমাদের তরফ থেকে শ্রদ্ধা, আদর ও প্রণাম।
এভাবে নিজের বিবাহবার্ষিকীতে জানালেন নিজের প্রেমের কথা। কীভাবে প্রেম শুরু হয়েছিল এবং কীভাবে চলছে তাঁদের জীবন তা নিয়ে করলেন বিশেষ পোস্ট। জানালেন কেমন করে কাটছে তাঁদের জীবন।
আরও পড়ুন
কর্মবিরতির ডাক টলিপাড়ায়, চলছে সমস্যা, বন্ধ হল একাধিক সিরিয়ালের শ্যুটিং