সংক্ষিপ্ত
শট বোঝানোর সময় চুম্বন! অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন অরিন্দম শীল, কী ঘটনা ঘটেছিল সেদিন?
যৌন হেনস্থার অভিযোগের কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। এমনকী পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিচালকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে এদিন অরিন্দম সংবাদ মাধ্যমে জানান, " আইনের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আইনি পথেই যা করার করব।"
বেশ কিছুদিন আগে পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে প্রথম অভিযোগ জানান ওই অভিনেত্রী। এরপরেই গত শনিবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য অরিন্দমকে সাসপেন্ড করেছে গিল্ড।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, "আমি আমার বিবেকের কাছে একশো শতাংশ স্বচ্ছ। আইনের প্রতিও আমার আস্থা রয়েছে।”
কিন্তু হঠাৎ কেন পরিচালকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এল?
গত এপ্রিল মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটা রিসর্টে শুটিং চলছিল। এখানে অভিনেত্রীকে শট বোঝাতে গিয়েই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে জানান অভিনেত্রী। এরপর ১২ অগাস্ট অরিন্দমকে ডেকে পাঠায় কমিশন।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন শুটিং ফ্লোরে শট বোঝানোর সময় তাঁকে চুম্বন করেন পরিচালক। এ প্রসঙ্গে অরিন্দম জানিয়েছেন, "আমি সকলের সামনে ফ্লোরে শট বোঝাচ্ছিলাম। আমি তো পাগল নই যে ফ্লোরে এ রকম কোনও অনৈতিক কাজ করব! সবটাই ঘটেছে অনিচ্ছাকৃত ভাবে। তাঁর কথায়, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে একটি মুহূর্তে ওঁর গালে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে যায়। অস্বস্তি হলে তিনি তখনই সেটা জানাতে পারতেন!"
কিন্তু এই বিষয় নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় পরিচালক। সমাজ মাধ্যমে এই নিয়ে যে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে তা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত তিনি।
অরিন্দম জানান, "ছবি এবং ওটিটি মিলিয়ে ২২টা কাজ করে ফেলেছি। আমার সঙ্গে যে অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন তাঁরা কেউই অস্বস্তি অনুভব করেছেন বলে মনে হয় না, আমার বিশ্বাস তাঁরা সেটাই বলবেন। শুটিংয়ের সময়টুকুর বাইরে আমি ফ্লোরে থাকিই না, বেরিয়ে আসি। বাইরেও কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করি না। ফ্লোরে সম্পূর্ণ ইউনিটের সামনে বিষয়টি ঘটেছিল। তাই আইনি পথে এগোলে অনেকেই সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত। আমার কাছে আরও নথি এবং প্রমাণ রয়েছে। মহিলা কমিশনেও কিছু জমা করেছি। প্রয়োজনে আরও নথি জমা দেব।"
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এখন বিষয়টি আর মহিলা কমিশনের আওতায় নেই। আমরা শুনানির পর নিয়মমাফিক আমাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আইন এ বার আইনের পথে এগোবে।”