সংক্ষিপ্ত

সোমবারই হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন। মঙ্গলবাস সকালেই সবাইকে ছেড়ে চির ঘুমের দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট শিল্পী সুমিত্রা সেন। ঘটনায় শোকের ছায়া দিই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবনী সেনের জীবনে।

৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত বিশিষ্ঠ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দক্ষিন কলকাতার একটি বিশিষ্ট হাসপাতালে চলছিল তাঁর চিকিৎসা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বাড়ি নিয়ে আশা হইয়েছিল সুমিত্রা সেনকে। হাসপাতাল থেকে ফেরার একদিনের মাথায় শেষ নিঃস্বাশ ত্যাগ করলেন তিনি।

সোমবারই হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন। মঙ্গলবাস সকালেই সবাইকে ছেড়ে চির ঘুমের দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট শিল্পী সুমিত্রা সেন। ঘটনায় শোকের ছায়া দিই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবনী সেনের জীবনে। মায়ের মৃত্যু সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান সুমিত্রা সেনের কন্যা শ্রাবনী সেন। মঙ্গলবা ভোরবেলা ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন শ্রাবণী সেন। তাতে লেখা,'আজ মা ভোরে চলে গেলেন'। সুমিত্রা সেনের দুই মেয়েই সঙ্গীত জগতে নিজেদের ছাপ ফেলেছেন। শেষের দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রেকর্ডিং। যেতেন না কোনও অনুষ্ঠানেও। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হত থাকে। চিকিৎসায় ধরা পড়ে ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া আক্রান্ত শিল্পী। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান শিল্পীকে। ধীরে ধীরে সুস্থও হচ্ছিলেন। সোমবার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। পরের দিন সকালেই থেমে যায় সুরের যাত্রা। মঙ্গলবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

গত ২১ ডিসেম্বর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসতালে ভর্তি হন সংগীত শিল্পী সুমি্ত্রা সেন। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল তাঁর। ২ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরানো হয় বর্ষীয়ান শিল্পীকে। এর পরের দিনই মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিজের বর্ণময় জীবনে দর্শকদেরকে একের পর এক হিট গান দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে, 'মেঘ বলেছে যাব যাব', 'বিপদে মরে রক্ষা করো', 'ঘরেতে ভ্রমর এল', 'সখি ভাবনা কাহারে বলে', 'রাঙিয়ে দিয়ে যাও' -এগুলি উল্লেখযোগ্য।