সংক্ষিপ্ত

কেমন হল মদন মিত্রের ও লাভলি- এই শব্দবন্ধ মদনের মুখেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু তা যাইহোক না কেন, এই ছবি কিন্তু মদন মিত্রের একার নয়

 

মদন মিত্র- রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিতি। তবে এবার মদনের পরিচিতির তালিকায় আরও একটি সংযোজন- অভিনেতা মদন মিত্র। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনিত প্রথম বাংলা ছবি ও লাভলি। যা রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। নিজের ছবি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী মদন। কারণ তিনি নিজের ছবির সঙ্গে সরাসরি আইকনিক হিন্দি ছবি শোলের তুলনা করে ফেললনেন।

শুক্রবার বিধানসভা গিয়েছিলেন মদন। সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান ডানলপের সোনালি সিনেমা হল- যা মদনের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। অনেকেই বলেন এটা মদনের এলাকা। যে যাইহোক সেখানেই নিজের দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। হলে ছিল ভাড়। যা দেখে উৎসাহী মদন বললেন, মনে হচ্ছে শোলে রিলিজ করেছে।

তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেমন হল মদন মিত্রের ও লাভলি- এই শব্দবন্ধ মদনের মুখেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু তা যাইহোক না কেন, এই ছবি কিন্তু মদন মিত্রের একার নয়, আরও পাঁচটা ফর্মাল বাংলা ছবির মতই এটি একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প। নায়িকা রাজনন্দিনী পাল ও নায়ক শ্রীশ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম আর বিয়ের টানাপোড়েন নিয়ে। বাণিজ্যিক ছবির মশলাই রয়েছে এই ছবিতে। তবে এই ছবিতে কিন্তু মদন মিত্রকে যদি কেউ রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখবেন আশা করে সিনেমা হলে আসেন তাহলে তিনি কিন্তু ঠকবেন। এই ছবিতে মদন এজনক বাবার চরিত্রে অভনয় করেছেন। তবে বাইরের জীবনের দাপট , একচ্ছত্র আধিপত্য ছেড়ে মদন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। সেখানে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর কথা মত লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের মত অভিনেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনয় করেছেন। কোথাও ছন্দপতন হতে দেননি মদন। এটাই বোধহয় ছবির সবথেকে বড় পাওনা।

চন্দ্রযান-৩এর সাফল্যে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

ঝকঝকে ধুতি পাঞ্জাবি, রোদ চশমায় সিলভারস্ক্রিনে একাধিকবার ধরা দেবেন মদন মিত্র। আর তাঁর মুখে থাকবে ও লাভলি বুলি। রাজনীতিবিদ হিসেবে মদন ঠিক যতটা জনপ্রিয় ততটাই জনপ্রিয়তা পেতে পারেন সিলভার স্ক্রিনে- তেমনই বলছেন, সিনে সমালোচকরা।

জন্মদিনে মুক্তি পেল ভানু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বায়োপিক 'যমালয়ে জীবন্ত ভানু'র পোস্টার

মদন মিত্র বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান। প্রায় প্রতিদিনই নিজের দরফতে যান। সেখানে নিজের বরাদ্দ ঘরে বসে যে দায়িত্ব তাঁর ওপর ছিল সেই কাজগুলি তিনি করতেন। তাঁরই ফাঁকে নিজের ছবির প্রচার করেছেন।

অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রীর ফিটনেস ভিডিও দেখুন, দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের আর মাত্র বাকি ৪ মাস

তবে মদন মিত্রের অনুগামীরা তাঁর ছবি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁদের আশা রাজনীতিতে যেমন নিজের ছাপ রেখেছেন মদন মিত্র তেমনই সিলভারস্ক্রেনেও নিজের আলাদা ছাপ রাখবেন তিনি। রাজনৈতিক ময়দানে মদন মিত্র একটি অন্যরকম। তিনি মজা করতে পারেন। সর্বদা গুরুগম্ভীর থাকতে পারেন না। ভারী ভারী বক্তৃতা করতে অভ্যস্ত নন তিনি। অনেক ভারী কথাও হালকাভাবে বলতে অভ্যস্ত মদন মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রীতিমত জনপ্রিয় মদন মিত্র। নাতির সঙ্গে তাঁর ঘুরে বেড়ানো বা স্নানরত ছবি প্রায়ই ভাইরাল হয়।