সংক্ষিপ্ত
পরীমণি বলেছেন, স্মার্টফোনের প্রয়োজন যেমন। তেমনই এই ফোন আশক্তির কারণও। ফোনে যদি আশক্ত হয়ে পড়েন মা, তাতে সন্তানের অবহেলা হবে।
সন্তান রাজ্য বদলে দিয়েছে পরীমণিকে। রাজ্যের বয়স মাত্র ৮ মাস। দিন দুই আগেই ৮ মাসে পা দিয়েছে পীরমনির সন্তান। সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাকে তৈরি হয়েছে এক অন্য সাম্রাজ্য। বলা ভাল সন্তান গর্ভ ধারণ করার পর থেকেই নিজেকে একটু একটু করে বদলে ফেলেছিলেন তিনি। আর সেই বদল এখনও অব্যাহত। আর নিজের প্রিয় সন্তানের জন্য নিজের প্রিয় স্মার্টফোনের অনুমতি নিয়ে পরীমণির বেডরুমে প্রবেশে। পরীমণির কথায় সন্তানের জন্যই স্মার্টফোন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
পরীমণি বলেছেন, স্মার্টফোনের প্রয়োজন যেমন। তেমনই এই ফোন আশক্তির কারণও। ফোনে যদি আশক্ত হয়ে পড়েন মা, তাতে সন্তানের অবহেলা হবে। নবজাতকের এই অনাদর যাতে না হয় তারজন্যই তিনি শোয়ার ঘরে কখনই ফোন রাখেন না।
ফোন করলেই তিনি তা ধরতে পারছেন না। তানিয়ে বাংলাদেশে রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় জল ঢেলে পরীমণি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক ফোন না ধরার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন তিনি নিজের সঙ্গে বেডরুমে মোবাইল ফোন রাখেন না। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর সন্তান নানা কারণে মোবাইল ফোন নোটিশ করে। স্মার্টফোনে যাতে এখন থেকেই ওর আগ্রহ না বাড়ে তারজন্য বেডরুম থেকে দূরে রাখেন ফোন। রাজ্যই এখন বেডরুমের অলিখিত মালিক। তার জন্যই সব আয়োজন।
তিনি আরও জানিয়েছেন খুব প্রয়োজন ছাড়া সন্তানের সামনে মোবাইল ফোন আনেন না। তাই তিনি ফোন ধরতে পারছেন না। তবে প্রয়োজনে ম্যাসেজ করার অনুমতি দিয়েছেন পরীমণি। তিনি কলব্যাক করবেন বলেও জানিয়েছেন।
আগামী ২৯ মে মা দিবস। সেই দিনই মুক্তিপাবে পরীমণির নতুন ছবি মা। অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত এই ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় কামব্যাক করবেন তিনি। তাই আদালা ভাললাগা রয়েছে তাঁর। মা প্রসঙ্গে পরীমণি জানিয়েছেন, অনেক দিন পরে সিনেমার মধ্যে দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। তিনি চাইছেন ছবিটি যেন দর্শকদের ভাললাগে। তিনি জানিয়েছেন বড় পর্দা মানেই অন্য এক অনুভূতি। তিনি আরও জানিছেন এই ছবির শ্যুটিং-এ তাঁর অনেক স্মৃতি। এই ছবির শ্যুটিং-এর সময় তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
ছেলে রাজ্য গর্ভে থাকাকালীন রাতদিন শ্যুটিং করেছিলেন পরীমণি। শ্যুটিংএর সময় তিনি খুবই চিন্তিত থাকতেন পেটের সন্তানকে নিয়ে। তবে ছেলেকে কোলে নিয়েই তিনি সিনেমাটি আবার দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।