সংক্ষিপ্ত
নবদম্পতির সঙ্গে ছবি তোলেন সোমলতা। সেই ছবি ফেসবুকে দিতেই একজন নেটিজেন মন্তব্য করে বসেন যে সোমলতা আচার্যেরও দুবার বিয়ে হয়েছে। এরপরেই ঝড় ওঠে সোমলতার এফবি পেজে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঘ সাজা নতুন কিছু নয়। ট্রোলকারীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র সোশ্যাল মিডিয়া। সেখান রাজা উজির মারতে বেশি সময় লাগে না। তবে কোনও কথার সত্যতা যাচাই না করেই ট্রোল করতে যাওয়াটা অনেক সময়েই যে বুমেরাং হয়ে যেতে পারে, তা এদের বোঝাবে কে! এমনই ঘটল অনুপম রায় ও প্রস্মিতা পালের বিয়েতে গায়িকা সোমলতার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।
১ মার্চ দুই পরিবারের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছেন অনুপম রায় এবং প্রশ্মিতা পাল। তারপর দিন ২ মার্চ দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে বসেছিল তাঁদের রিসেপশন পার্টি। সেখানেই আংটি বদল সারেন তাঁরা। বসেছিল চাঁদের হাট। সোমলতা আচার্যকে দেখা যায় এদিন নবদম্পতির সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন আরও অনেক তারকা।
নবদম্পতির সঙ্গে ছবি তোলেন সোমলতা। সেই ছবি ফেসবুকে দিতেই একজন নেটিজেন মন্তব্য করে বসেন যে সোমলতা আচার্যেরও দুবার বিয়ে হয়েছে। এরপরেই ঝড় ওঠে সোমলতার এফবি পেজে। নেটিজেনরা গায়িকাকে সমর্থন করে একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন। এই আলটপকা মন্তব্যের উত্তর দেন গায়িকা নিজে। ওই ব্যক্তির করা কমেন্টের নিচে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সোমলতা লেখেন ওই ব্যক্তি যদি তাঁর প্রথম স্বামীর নাম ও ঠিকানা জানিয়ে যেতেন, সুবিধা হত। কারণ তাঁর প্রথম বিয়ে সম্পর্কে গায়িকা নিজেই অবগত নন।
গায়িকা সমর্থন করে কমেন্ট সেকশনে লেখেন আরেক শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রও। তিনি লেখেন দু বার নয়, সোমলতা দুশো বার বিয়ে করেছেন। কী কম জানেন ওই ব্যক্তি! বলাই বাহুল্য ট্রোলকারী ওই ব্যক্তিকে ঠুকেই কমেন্ট করেছেন লোপামুদ্রা। সোমলতার ভক্তরাও ট্রোলকারীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁরা বলেন মন্তব্য করার আগে একটু বুঝে বা জেনে মন্তব্য করলে ভালো হয়।
উল্লেখ্য, ঘোরতর সংসারী সোমলতার প্রেম সাড়ে নয়-দশ বছরের। এর মধ্যেই পূর্ণ হয়েছে তাঁদের বিয়ের দশ বছর। প্রেম ছিল লং ডিসট্যান্স। বিয়ের পর আট বছর দূরে রয়েছেন তিনি ও তাঁর স্বামী আকাশ রায়। সোমলতা তাঁর কাজের জন্য কলকাতায় থাকেন। তাঁর স্বামী থাকেন গুরগাঁওতে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।