সংক্ষিপ্ত
পুজোর মধ্যেই সম্পর্কে চিড়ের গুঞ্জন! তবে কি এবার ঘর ভাঙছে সৃজিত মিথিলার, স্পষ্ট ভাষায় নাম নিয়ে পোস্ট লিখলেন তসলিমা
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিক রাখার প্রচেষ্টা বরাবরই চলে আসছে। ভারতে যেমন বহু বাংলাদেশের পর্যটক আসেন একইভাবে বাংলাদেশেও যান বহু ভারতীয় পর্যটক। এবার এই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন।
এমন অনেক দম্পতি রয়েছেন যারা দুই ভিন্ন দেশের অধিবাসী। তাও তাঁরা ঘর বেঁধেছেন একসঙ্গে। কিন্তু অনেকেরই ঘরে চিড় ধরেছে। বিয়ে করেও আলাদা দেশেই থাকেন বহু দম্পতি। এবার এই নিয়েই একটি পোস্ট করলেন তসলিমা।
কবীর সুমন-সাবিনা ইয়াসমিন থেকে অর্ণব-সাহানা অনেকেই ঘর বেঁধেছিলেন একসঙ্গে থাকার জন্য। এই প্রসঙ্গে তসলিমা লেখেন, "বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যে রোমান্টিক বা বৈবাহিক সম্পর্ক কেন টিকছে না? সাবিনা ইয়াসমিন আর কবীর সুমন বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে গান গাইলেন। এর পর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সাবিনা আর সুমনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে হয় না। এর পর সৃজিত আর মিথিলা বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছু দিন একসঙ্গে চলাফেরা করলেন। এর পর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সৃজিত তাঁর ১০/১২টা সাপ নিয়ে, আর মিথিলা তাঁর কন্যা নিয়ে। মিলন থাকলে বিচ্ছেদ থাকে, এ নতুন কিছু নয়।"
প্রসঙ্গত এখন কলকাতায় অত্যন্ত কম দেখা যায় মিথিলাকে। চাকরির কাজে বেশির ভাগ সময় কাটে তানজ়ানিয়ায়। অন্যদিকে কলকাতা-মুম্বই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকেন সৃজিত। তাই ২০২৩ সালের পর থেকেই মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কে শৈত্য এসেছে বলে মনে হয়। মেয়েকে নিয়ে বেশিরভাগ সময়তেই দেশে বিদেশে থাকেন মিথিলা। অন্যদিকে সাতটা সাপ নিয়ে একা থাকেন সৃজিত। তাই এবার সম্পর্কে স্পষ্ট চিড় ধরা পড়েছে। তবে এখনও নিজেদের সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেননি দু'জনের কেউই।