সংক্ষিপ্ত
‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ এবং ‘বুমেরাং’, দুই পৃথক প্রযোজকের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা টলিউড নায়িকার।
‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ এবং ‘বুমেরাং’, টলিউডের আসন্ন দুটি ছবির দুটিতেই নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। অভিনেতা দেবের প্রেমিকা হলেও কাজের জগতে তিনি খাতা খুলেছেন অভিনেতা তথা প্রযোজক জিৎ-এর সঙ্গেও। ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ প্রযোজনা করছে দেবের সংস্থা, অন্যদিকে ‘বুমেরাং’ ছবির প্রযোজনায় রয়েছে জিৎ-এর সংস্থা। উভয়েরই তুরুপের তাস এখন রুক্মিণী। দুই ছবির প্রচারে তিনি যখন বড্ড ব্যস্ত, তখনই দুই পৃথক প্রযোজকের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এই নায়িকা।
শুক্রবার ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ সিনেমার প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসেছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। তাঁর সঙ্গে প্রেমিক দেবও ছিলেন। প্রথমে লাইভের খুঁটিনাটি হিসেবনিকেশ করতে বেশ কিছুটা হাসি-মজায় কাটে, এরপর দেবের কাছেই রুক্মিনীর জেরাপর্ব শুরু হয়। ‘সত্যবতী’ চরিত্রে অভিনয় করার প্রসঙ্গে কথাবার্তা চলতে থাকে, নিজের জন্মদিনে সারপ্রাইজ হিসেবে তিনি যে এই চরিত্রটিতে নিজের লুক দেখতে পান, সেকথাও জানান রুক্মিণী।
ছবির পরিচালক বিরসা ও সহ অভিনেতা দেব প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘এই প্রথম এত শান্ত কোনও পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলাম। কেউ সেটে চেঁচায়নি। কেন এতক্ষণ দেরি হল রেডি হতে। ওর টিম খুব ভালো। কো অ্যাক্টর হিসাবে দেব খুবই ভালো। ওর সব কো অ্যাক্টররাই তাই বলে। কিন্তু আমায় একটু বেশি বকে। তাই অন্যদের সঙ্গে কাজ করে রিল্যাক্সড থাকি, আর দেবের সঙ্গে কাজ করলে আমি একটু টেনশড থাকি।’
এই কথাটির পরেই অভিনেতা দেব রুক্মিণীকে থামিয়ে দিয়ে মজা করে বলেন, ‘তার মানে জিৎদার সঙ্গে কাজ করে রিল্যাক্সড থাকো, আর আমার সঙ্গে কাজ করে টেনশড থাকো?’ ক্মিনী বলেন, ‘হ্যাঁ, জিৎ হল হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ। কিন্তু এবার দেবের সঙ্গে শ্যুটেও ও রিলাক্সড ছিল। চ্যাম্পের সময় ও খুবই গাইড করত। কিন্তু, ককপিট দেখে ও আমায় নিজের মতো করে করতে ছেড়ে দিয়েছে । ঠিক স্কুল যাওয়ার মতো। তবে, ব্যোমকেশের দ্বিতীয় সিন শ্যুটের পরেই দেব বলল, দর্শক তোমায় খুব ভালোবাসবে। সেটা হয়তো ওর ভালোবাসার জন্য, বা অনেকদিন আমাকে দেখছে বলে। তবে, আমি যখন ফাইনাল কাট দেখি, তখন থেকে আমারও সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র সত্যবতী।’
আরও পড়ুন-
Chandrayaan 3 Live: চাঁদের কক্ষপথে নিখুঁত পরিচালন, ২২ দিনে চন্দ্রযান ৩-এর বিরাট সাফল্য