সংক্ষিপ্ত
কৃতীর কথায়, ‘৭ বছরের দূরত্ব আমাদের খুব ভাল বন্ধু বানিয়ে দিয়েছে। তারই ছায়া সবাই দেখতে পাবেন এই ছবিতে। আমাদের চেষ্টা করে রসায়ন তৈরি করতে হয়নি।’
২০১৫-য় ‘দিলওয়ালে’। সেখানেই প্রথম বরুণ ধবন-কৃতী শ্যানন জুটি। দর্শকদের সেই জুটি বেশ লেগেছিল। কিন্তু পর্দায় সেই জাদু আর ফিরে আসেনি! দর্শকেরা কি মন থেকে তাঁদের দেখতে চাইছিলেন? সম্ভবত তাই। তা-ই, ২০২২-এ ৭ বছর পরে ফের জুটিতে দু’টিতে। অরুণ কৌশিকের ‘ভেড়িয়া’ ছবিতে। যদিও বরুণ বলেছেন, ‘এই ছবিতে আমি আর কৃতী রোমান্স করার সুযোগ পাইনি। তার পরেও ও যা করেছে অনবদ্য! কৃতীর কৃতিত্ব মনে রাখবেন দর্শক।’ আর কৃতী কী বলছেন? তাঁর কথায়, ‘৭ বছরের দূরত্ব আমাদের খুব ভাল বন্ধু বানিয়ে দিয়েছে। তারই ছায়া সবাই দেখতে পাবেন এই ছবিতে। আমাদের চেষ্টা করে রসায়ন তৈরি করতে হয়নি।’ তার পরেই হালকা দুষ্টুমি, এই সুযোগে বরুণ খুব ভাল অভিনেতা হয়ে উঠেছে!
প্রযোজক দীনেশ বিজনের ছবিতে তা হলে বরুণ আর কৃতীকে কী ভাবে দেখবেন দর্শক? কলকাতায় ছবির প্রচারে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃতীর বক্তব্য, নায়ক যদি নেকড়ে মানুষ ‘ভাস্কর’ হন তা হলে নায়িকা সেই রোগীর চিকিৎসক। যিনি পথের দিশা দেখানোর চেষ্টা করেন। এবং এই ধরনের চরিত্র তিনি আগে করেননি। হিংস্র প্রাণীর উপরে বানানো কোনও ছবিতেও না। ফলে, নায়িকা মহাখুশি। তার মধ্যেই তিনি ‘ঠুমকেশ্বরী’ আইটেম সং নেচেছেন! প্রশংসা করেছেন সহ-অভিনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের ঘরের ছেলে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির দুরন্ত অভিনেতা। অভিষেকের অভিনয়ের প্রশংসা অনেকেই করেছেন। আমি চাক্ষুষ করলাম। সত্যিই ও বড্ড ভাল অভিনয় করেন। ঘরের ছেলের কাজ দেখতে আপনারা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে আসবেন।’
এ দিন সকাল থেকেই শহর কলকাতায় বরুণের যোগ্য জুটি কৃতী। নায়ক তাঁকে ট্রামে চড়িয়েছেন। তিনি নায়কের বাহুতে ধরা দিয়ে পাদানি থেকে শরীর ভাসিয়ে দিয়েছেন। আলগোছে মেখে নিয়েছেন হেমন্তের শীতল হাওয়া। বরুণ এ দিন দুধসাদা পোশাকে রাজপুত্র। তাঁর রাজকন্যে কৃতী আকর্ষণীয় কুচকুচে কালো পোশাকে। কখনও সেই অবস্থাতেই পোজ দিয়েছেন পাপারাৎজিদের। ছবি সম্পর্কে বেশি বললে, রহস্যই নষ্ট। তার মধ্যেই কৃতীর খুনসুটি, ‘‘শরীর ঠিক রাখবে বলে বরুণ সবার দ্বিগুণ মুরগির মাংস খেয়েছেন। ওর প্লেটে জমা হাড়ের পরিমাণ যদি দেখতেন। একেক সময় আমারই কেমন যেন মন হচ্ছিল, অভিনয় করতে করতে সত্যি সত্যি আমার নায়ক ‘নেকড়ে মানুষ’ হয়ে গেল না তো?’’