সংক্ষিপ্ত
ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেত্রীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয় স্থানীয় প্রথম সারির এক বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ভাল নেই ঐন্দ্রিলা শর্মা। এমনই জানিয়েছেন হাওড়া আন্দুলের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বিশ্বস্ত সূত্রে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা জানতে পেরেছে, চিকিৎসকদের কথায়, অভিনেত্রীর মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত। ২০ শতাংশ ঠিক রয়েছে। ভেন্টিলেশনে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। তাঁদের মতে, '‘ঐন্দ্রিলা বরাবরের লড়াকু। এখনও লড়ছেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে সমানে লড়ে যাচ্ছি। এখন ঈশ্বরই ভরসা।'' তবে তাঁরা খুব একটা আশার বাণী শোনাতে পারেননি সব্যসাচী চৌধুরী এবং ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবারকে। ঐন্দ্রিলার পরিবারের সবাই চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। বাবা উত্তম শর্মা চিকিৎসক। মা-ও প্রথম সারির হাসপাতালের মেট্রেন। দিদি ঐশ্বর্য ডাক্তারি পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই তাঁরা বুঝতে পারছেন বাড়ির ছোট মেয়ের বর্তমান অবস্থা। ফলে, তাঁরা বাকরুদ্ধ। কারওর সঙ্গে কোনও কথা বলছেন না। তাঁদের প্রত্যেকের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে কথা বলার আগ্রহই হারিয়েছেন তাঁরা।
একই ভাবে ফোন ধরছেন না সব্যসাচীও। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেতেও অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে ঐন্দ্রিলা ‘হোঁদল’ রেস্তরাঁয় ছিলেন। সল্টলেকে এই রেস্তরাঁর অন্যতম কর্ণধার সব্যসাচী। সেখানে হইহই করে নাকি জন্মদিনও পালিত হয়। সেই ছবি ঐন্দ্রিলা পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বরাবরের মতোই তখনও তাঁর হাসিমুখ। কেউ ভাবতেই পারেননি, এর পরেই তাঁদের জন্য কত বড় বিপদ ওঁত পেতে বসে রয়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেত্রীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয় স্থানীয় প্রথম সারির এক বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই ধরনের সমস্যা আচমকাই আসে। সাধারণত আগাম কোনও লক্ষ্মণ বা উপসর্গ রোগীর শরীরে দেখা যায় না।
অভিনয়ের পরেই রেস্তরাঁ ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছিল সব্যসাচীর। ঐন্দ্রিলাও তাঁকে সঙ্গ দিতেন। আপাতত সেই ‘হোঁদল’-এর দায়িত্ব তিনি সহযোগীদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। দুর্দিনে বরাবরই তিনি ঐন্দ্রিলার পাশে। দু'বার ক্যান্সারে ভুগেছেন ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা। এই রোগ তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতেও দাঁড়ি টেনেছে। তার পরেও হার মানেননি তিনি। অভিনয় দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তখনও পাশে সব্যসাচীকে পেয়েছেন। এখন, ভেন্টিলেশনেও একা লড়ছেন না ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্র্রীর অসুস্থতার খবর ছড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়া উপচে পড়েছে শুভ কামনায়। সবার একটাই চাওয়া, এ বারেও জিতে যাক ঐন্দ্রিলা শর্মা। জয়ের আরও একটা নাম হয়ে উঠন তিনি।