সংক্ষিপ্ত
শেষদিনের শুট্যিং সারল টিম আয় তবে সহচরী। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণেই কি বন্ধ হল ধারাবাহিক? শেষ কটাদিনের দৃশ্যে দেখা যায়নি সহচরী, অর্থাৎ কনীনিকাকে। তাঁকে ছাড়াই শেষ দিনের শ্যুটিং সারলেন সকলে।
২০২২-এর পর পর কয়েকটা মাসে যেন জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক শেষ হওয়ার মাস। কয়েকদিন ধরেই একের পর এক ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেছে। মনফাগুন, খড়কুটো, উমা থেকে শুরু করে বন্ধ হয়েছে আরও একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক।আর সেই কারণেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সিরিয়াল প্রেমীরা। কবে তাদের পছন্দের ধারাবাহিকের শেষের দিন চলে আসে। এবার কিছুদিন আগে সামনে এসেছে আরও এক জনপ্রয় ধারাবাহিক বন্ধের খবর। শেষদিনের শুট্যিং সারল টিম ‘আয় তবে সহচরী’। হ্যাঁ, সম্প্রতি সামনে এসেছে সহচরীর শেষ হওয়ার খবর। আর এই খবরে অবাক সহচরীর দর্শকেরা। গল্পের গতিপথ দেখে কেউই ভাবতেই পারেননি এত তাড়াতাড়ি ইতি টানবে এই ধারাবাহিক।
তবে কিছুদিন আগেই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র সহচরী অর্থাত অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুস্থতার খবর সামনে আসে। শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচারের জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও শ্যুটিং এ ফিরতে পারেননি তিনি। ধারাবাহিকের গল্পও এগিয়েছে তাঁকে ছাড়াই। সেই কারণেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সম্প্রতি হয়ে গেল ধারাবাহিকের শেষ দিনের শ্যুটিং। আর শেষের দিন শুটিং সেরে খাওয়াদাওয়ায় মেতে উঠল গোটা টিম। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা।
প্রসঙ্গত সহচরী যাওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক এগোচ্ছে একেবারে সকলকে চমকে দেওয়ার মত গল্প দিয়ে। সহচরীর সবথেকে বড় শত্রু দেবিনা। যে একের পর এক ক্ষতি করে গেছে গোটা পরিবারের। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে দাদাকে বাঁচাতে দেবিনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় বুবাই। তবে দেবিনার স্বভাবের জেরে সে কখনই এই পরিবারের একজন হয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে গল্পের ট্যুইস্ট আসে, জানা যায় দেবিনা বরফির বাবার অপর সন্তান। অর্থাত সম্পর্কে বরফি দেবিনা দুই বোন। আর এই খবর জানার পর থেকেই দেবিনার মন আরও বেশি করে প্রতিশোধস্পৃহা জাগে। আর বরফি টিপু সহচরীর কোনও রকম ক্ষতি করতেই সে রেয়াত করে না। তবে, সময়ের চক্রে বুবাইয়ের সান্নিধ্যে মনের পরিবর্তন ঘটে দেবিনার। এই পরিবারকেও সে আপন ভাবতে শুরু করে, এমনকি টিপু বরফি যাতে আলাদা না হয়ে যায় তাই আত্মত্যাগ করে নিজের দোষ স্বীকার করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় সে। তারপরই অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তখনই পরিবারের সকলের বুঝতে পারে দেবিনার বদলে যাওয়ার কথা। তারপরই মধুরেণ সমাপয়েৎ। তবে শেষে ক’টা দিনের দৃশ্যে দেখা যায়নি সহচরী, অর্থাত কনীনিকাকে। তাঁকে ছাড়াই শেষ দিনের শ্যুটিং সারলেন সকলে।
আরও পড়ুন-
‘সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, মিমি, নুসরত, সায়ন্তিকা, সায়নী, জুনরা লুটেপুটে খাচ্ছে’, শালবনির শ্রীকান্তর মন্তব্যে
‘টিএমসি-র দালাল, তোলাবাজ’, নিজেদেরই বৈঠকের বাইরে এসে কলার ধরে তুমুল হাতাহাতি বিজেপি নেতাদের মধ্যে