সংক্ষিপ্ত
এই শহরে শেষ গান গেয়েছিলেন তিনি। এই শহরেই শেষবারের মতো দর্শকরা দেখেছিলেন তাঁদের প্রিয় গায়ককে। কেকে'র স্মৃতিতে এবার শহরে স্থাপিত সঙ্গিত শিল্পীর মূর্তি।
এক বছর আগে আকের দিনেই হাজার হাজার ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলন সঙ্গীত শিল্পী কেকে। প্রিয় গায়কের এই আকষ্মিক প্রয়াণে প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল বিনোদন জগতে। এক বছর কেটে গেলেও কেকে কে আজও ভোলেনি কলকাতা। এই শহরে শেষ গান গেয়েছিলেন তিনি। এই শহরেই শেষবারের মতো দর্শকরা দেখেছিলেন তাঁদের প্রিয় গায়ককে। কেকে'র স্মৃতিতে এবার শহরে স্থাপিত সঙ্গিত শিল্পীর মূর্তি। প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে কেকে'র মূর্তিতে মালা দিলেন ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বুধবার ভাইরাল হল এমনই এক ছবি। সোশ্যাল মিডিয়া ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই আবেগের বন্যা বয়ে যায়।
গত বছর ৩১ মে প্রয়াত হন কেকে। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। কলকাতায় এসেছিলেন একটি শো করতে। গান গাইতে গাইতেই অসুস্থ বোধ করেন। শারীরিক অবস্থা উপেক্ষা করে শো করেন। তারপর হোটেলে চলে যান। সেখানে অসুস্থ হয়ে পরেন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত হলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল গায়কের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল সর্বত্র। হতবাক হয়েছিলেন সকলে। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। আজ পার হল একটা বছর। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কেউই ভুলতে পারেননি কেকে -কে। তাঁর মৃত্যুকে বার্ষিকীতে তাঁরে সম্মান জানাতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল তাঁর বন্ধুরা।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর পরিচিতি গড়েন গায়ক। সে সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল গেয়েছিলেন কেকে। প্রায় ৩৫০০টি জিঙ্গল গেয়েছিলেন কেকে। গেয়েছেন বহু গান। তাঁর গাওয়া হিট গানের তালিকা তৈরি কার কঠিন। তিনি বরাবর দর্শকদের হিট গান উপহার দিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে ২৩ অগস্ট মালয়ালি পরিবারে জন্ম হয় কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের। দিল্লিতে বেড়ে ওঠা তাঁর। দিল্লির কিরোরি মাল কলেজ থেকে বাণিজ্য নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন কেকে। তারপর কয়েক মাস মর্কেটিং এক্সজিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেন। শেষে চাকরি ছেড়ে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন।