India Pakistan War Tension: কথায় বলে শিল্প আর শিল্পীর কোনও ঠিকানা হয় না। শিল্পী তার নিজের দক্ষতায় দেশ-বিদেশের মাটিতে নিজের জায়গা করে নেয়। জানুন…      

India Pakistan War Tension: কথায় বলে শিল্প আর শিল্পীর কোনও ঠিকানা হয় না। শিল্পী তার নিজের দক্ষতায় দেশ-বিদেশের মাটিতে নিজের জায়গা করে নেয়। কিন্তু এবার বোধহয় বদল আসতে চলেছে সেই কথার। কারণ, ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে এদেশের দরজা বন্ধ হতে চলেছে পাকিস্তানী শিল্পীদের। ফলে বলিউডে কাজ করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের (Pakistan News)।

কারণ, একদিকে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা অন্যদিকে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। তারপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক একেবারে তলানীতে ঠেকেছে। ভারতের নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের কিছু তারকারা মুখ খুললেও ভারতের পাল্টা প্রত্যাঘাতের পরই অবস্থান বদল করেছেন তারা। মুখ খুলেছেন দেশের হয়ে (Pakistan)। আর এবার এই সব পাক অভিনেতা, অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।

সরকারি সূত্রে খবর, ভারত-পাক যুদ্ধের আগে পর্যন্ত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা পোষাকে দেখা যেত মাহিরা, হানিয়া আমিরের মতন বেশকিছু পাক তারকাদের। এবার সেই সমস্ত পাক তারকাদের ছবি রয়েছে এমন সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বা মুছে ফেলা হচ্ছে। যদিও আগেই ভারত সরকারের তরফে পাক শিল্পীদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট এদেশে কার্যকর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এবার একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে পাক শিল্পীদের এড়িয়ে চলতে চাইছে ভারত সরকার।

জানা গিয়েছে, পাক শিল্পীরা রয়েছেন এমন সব ছবি, প্রোজেক্টের কাজ থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে পাকিস্তানের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। সূত্রের খবর, মাহিরা ছাড়াও পাক শিল্পী ফাওয়াদ খান, মাওরা হাকেনের মতন অভিনেতাদের কাজ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। মুছে ফেলা হচ্ছে পোস্টার। সেই সব জায়গায় লাগানো হচ্ছে নতুন পোস্টার। ফলে আর থাকছে না পাক শিল্পীদের ছবি।

উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারতীয়দের পাশেই ছিলেন পাক শিল্পী ফাওয়াদ খান। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের বিপক্ষে মুখ খোলায় সেই সমর্থনও হারিয়েছেন পাকিস্তানের এই অভিনেতা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফাওয়াদ খানের 'আবির গুলাল' সিনেমা। তবে এই প্রথম নয়, ২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের ভারতে IPL খেলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরে এক দশকের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে ভারতে আইপিএলে নিষিদ্ধ পাক খেলোয়াড়রা। আর এবার পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হতে চলেছে সিনেমার দরজাও।

প্রসঙ্গত, আদমপুর বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য যারা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি স্পষ্ট ও আপোষহীন লড়ইয়ের বার্তা দিয়েছেন। "ভারতের দিকে নজর দেওয়ার একটাই পরিণতি -- ধ্বংস," প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সীমান্ত-পারের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের জিরো-টলারেন্স অবস্থানকে জোরদার করা হবে। অপারেশন সিঁদুরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "যারা আমাদের চ্যালেঞ্জ করার সাহস করেছিল তারা আমাদের সৈন্যদের শক্তির মুখোমুখি হয়েছিল। নয়টি সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে। ১০০ রও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের নেতারা এখন বুঝতে পেরেছেন -- ভারতের দিকে নজর দেওয়া মানে কেবল ধ্বংস ডেকে আনা।" নাম না করেই নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছেন।

মোদী কঠোর সতর্কবার্তা জারি করার সময় তাঁর কণ্ঠে দৃঢ়তা প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, "ভারতে নিরীহ মানুষের রক্তপাতের একটাই পরিণতি হবে -- ধ্বংস এবং মহাধ্বংস।" আকাশের অভিভাবকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাহস, প্রতিশ্রুতি এবং অতুলনীয় শক্তিকে অভিবাদন জানিয়ে শত্রুদের কাছে একটি জোরালো এবং স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। 

বিমানবাহিনীর কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, "শত্রুরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আপনারা সীমান্ত থেকে শক্তি এবং নির্ভুল লক্ষ্যের মাধ্যমে তাদের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মূল কর্মীরা নিহত হয়েছে। নয়টি জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে এবং ১০০ রও বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এখন, তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে -- ভারতের বিরুদ্ধে নজর দেওয়ার একটাই পরিণতি: ধ্বংস। আর নিরীহ ভারতীয়দের রক্তপাতের একটাই ফলাফল হবে: ধ্বংস -- এবং সম্পূর্ণ ধ্বংস।"