বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর তাঁর প্রথম পক্ষের পরিবার একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করে, যেখানে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী ও তাঁদের কন্যারা অনুপস্থিত ছিলেন। পরে হেমা মালিনী নিজের বাড়িতে একটি পৃথক ভজন এবং ভগবত গীতা পাঠের আয়োজন করেন।
বলিউডের 'হি-ম্যান' ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর মারা যান। এই পরিস্থিতিতে সানি দেওল এবং ববি দেওল তাঁদের বাবার স্মরণে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন। তবে, যে বিষয়টি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, তা হল তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী এবং তাঁদের মেয়ে এষা দেওল ও অহনা দেওলের অনুপস্থিতি। তাঁদের না আসাটা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে, বিশেষ করে যখন হেমা ধর্মেন্দ্রর সম্মানে নিজের বাড়িতে একটি আলাদা প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন।
হেমা মালিনীর বাড়ির প্রার্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এই তারকারা
ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর তাঁর ছেলে সানি দেওল এবং ববি দেওলের সঙ্গে ২৭ নভেম্বর প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছিলেন। ঠিক সেই সময়েই একজন পন্ডিতকে হেমা মালিনীর বাড়িতে যেতে দেখা যায়। এরপর মহিমা চৌধুরী, সুনীতা আহুজা এবং তাঁর ছেলে যশবর্ধন সহ অনেক তারকাকে হেমা মালিনীর বাড়িতে যেতে দেখা যায়। এষা দেওলের প্রাক্তন স্বামী ভরত তখতানিকেও প্রার্থনা সভায় হেমা মালিনীর বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল।
সুনীতা আহুজার প্রকাশ
গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা, হেমা মালিনীর বাড়িতে ভজন সন্ধ্যার আয়োজনের খবর নিশ্চিত করে বলেন, 'হেমা জি তাঁর বাড়িতে ভগবত গীতা পাঠ এবং ভজনের আয়োজন করেছিলেন। তাই আমরা সবাই ভজন শুনেছি। আমি হেমা জির সামনে কান্না আটকাতে পারিনি।' জানিয়ে রাখি, হেমা হলেন ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী। হেমার আগে ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয়েছিল প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। প্রকাশ এবং ধর্মেন্দ্র ১৯৫৪ সালে বিয়ে করেন। এই বিয়েতে তাঁদের চার সন্তান—সানি, ববি, বিজেতা এবং অজিতা। অন্যদিকে, হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই মেয়ে, এষা এবং অহনা। জানিয়ে রাখি, ৮৯ বছর বয়সে ২৪ নভেম্বর ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু হয়। নভেম্বরের শুরুতে তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন এবং বাড়িতেই তাঁর যত্ন নেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান।


