সংক্ষিপ্ত

'এমার্জেন্সি' ছবির শ্যুটিং-এর জন্য অনুমতি চাইলেন কঙ্গনা রানাউত। সংসদের সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনও সিদ্ধান্তে আসেনি দিল্লির কর্তাব্যক্তিরা।

বাস্তবতা তুলে ধরতে চান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর সেইজন্য সংসদের মধ্যেই 'এমার্জেন্সি' ছবির শ্যুটিং করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। লোকসভার সচিবালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন। চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি লোকসভার সচিবালয়। চিঠিটি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে সূত্রের খবর সচিবালয় কঙ্গনাকে লোকসভার অন্দরে 'এমার্জেন্সি' ছবির শ্যুটিং-এর অনুমতি দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

লোকসভার সচিবালয়কে লেখা চিঠিকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত বলেছিলে, সংসদ চত্বরে তিনি 'এমার্জেন্সি' ছবির শ্যুটিং করার অনুমতি চান। তাঁকে অনুমতি দেওয়া হোক।

সাধারণত ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিকে সংসদ চত্বরে শ্যুটিং করার বা ভিডিওগ্রাফি করার অনুমতি দেওয়া হয় নী। যদিও এটি কোনও আধিকারিক বা সরকারি কাজের জন্য ব্যবহার করার বিষয়ে হয়ে থাকে তাহলেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সচিবালয় সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তেমনই জানান হয়েছে। প্রধানত রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী দূরদর্শন ও সংসদ টিভিকেই সংসদের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান বা অনুষ্ঠানের শ্যুটিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সচিবালয় সূত্রের খবর, ব্যক্তিহত কাজের জন্য সংসদের ভিরতে শ্যুটিংয়ের জন্য কোনও ব্যক্তিগত সংস্থা বা প্রোডাকশান হাউসকে শ্যুটিং করার অনুমতি দেওয়ার নজির এখনও পর্যন্ত নেই।

চলতি বছর জুনে 'এমার্জেন্সি' ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা, প্রযোজনা করেছেন কঙ্গনা রানাউত। ছবির স্ক্রিপ্টরাইটারও তিনি। ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন। ছবিটিতে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার ও ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে বলেও কঙ্গনা ঘনিষ্ট বৃত্তে জানিয়েছেন।

জরুরি অবস্থা বা এমার্জেন্সি ভারতের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে দেশের মানুষের। অন্যায্যভাবে ডেলে ভরা হয়েছিল বহু মানুষকে। কঙ্গনা জানিয়েছিলেন ভারতের রাজনৈতিক ইতিবাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়কেই তিনি সেলুলয়েডে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আর সেইজন্যউ এজাতীয় ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি ছিল। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধী লোকসভা ভোট করেছিলেন। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস পার্যুদস্ত হয়। ক্ষমতায় এসেছিল জনতা পার্টি পরিচালিত জোট সরকার।